সস্তায় জ্বালানি বেশি দিন নয়: অর্থমন্ত্রী

সস্তায় জ্বালানি বেশি দিন নয়: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘২০২১ ও ২০৪১ সালে বিইআরসির উদীয়মান ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গ্র্যান্ড বলরুম, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ১৩ মার্চ। ছবি: ফোকাস বাংলা
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘২০২১ ও ২০৪১ সালে বিইআরসির উদীয়মান ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গ্র্যান্ড বলরুম, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ১৩ মার্চ। ছবি: ফোকাস বাংলা
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘একটা জিনিস সমন্ধে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমরা আর খুব বেশি দিন সস্তায় জ্বালানিশক্তি সরবরাহ করতে পারব না। কারণ, বাংলাদেশের উৎপাদনক্ষমতা খুবই কম। আবার আন্তর্জাতিক বাজারের ওপরে নির্ভর করতে হয়।’

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে এক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘২০২১ ও ২০৪১ সালে বিইআরসির উদীয়মান ভূমিকা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যখন আমরা জ্বালানি আনছি, তখন তা আন্তর্জাতিক দামেই আনছি। সেই আন্তর্জাতিক দাম আমাদের বাজারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি যে সরকারই থাকুক না কেন, এই জ্বালানি খাতে আমাদের কিছু ভর্তুকি দিয়ে যেতেই হবে। অন্য সূত্রে কর আদায় করে এই খাতটাকে ভর্তুকি দিতেই হবে।’

বিইআরসি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিইআরসির দক্ষতা (ইফিসিয়েন্সি) বাড়াতে হবে। সরকারকে ভর্তুকি দিতে হলে তাদের ভিত্তি তৈরি করতে হবে। আর সেই ভিত্তিটা হচ্ছে আমি উপযুক্তভাবে আপনাদের সরবরাহ নিশ্চিত করছি, সেখানে আমাকে সাহায্য করা আপনাদের প্রয়োজন।’

তাঁর মতে, আরও কিছু সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। সেসব সেমিনারে কোনটি ভোক্তাদের জন্য ভালো হবে, আগামীবার ভর্তুকি কীভাবে দেওয়া হবে—এগুলো বিবেচনা করতে হবে। মানুষকে জানানো দরকার, দাম একটু বেশি হলেও সেই দামে ভর্তুকি থাকবে এবং ভর্তুকিটা পাচ্ছে দেশের প্রতিষ্ঠান।

বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিইআরসি কোনো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান না। এটাকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান সরকার সংসদে আইন পাস করেছে। এটি নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো স্বাধীন নয়। তিনি আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নত হতে হবে। তাহলে চিন্তা, মননশীলতা—সবদিক দিয়েই উন্নত হতে হবে। খয়েরখাঁ হয়ে থাকলে চলবে না। কম দামে বিদ্যুৎ কীভাবে উৎপাদিত হয়, এগুলো বিইআরসিকে দেখতে হবে।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) মো. মিজানুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ।