ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৯১

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৯১
ইন্দোনেশিয়ার লম্বোক দ্বীপে এক সপ্তাহের মাথায় দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, রোববার ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বহু বাড়িঘর, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কম্পন অনুভূত হয়েছে কাছের বালি দ্বীপেও।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দ্বীপের উত্তর উপকূলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও দুই ঘণ্টা পর তা তুলে নেওয়া হয়।

নয়নাভিরাম সৈকত ও হাইকিং ট্রেইলের জন্য লম্বোক পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই দ্বীপে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়।

এবারের ভূমিকম্পে দ্বীপের প্রধান শহর মাতরমের ভবনগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ইমান বলেন, ভূমিকম্পে পুরো শহর কেঁপে উঠলে সবাই আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে।

মাতরমের সিটি হাসপাতাল আর বালির ডেনপাসার হাসপাতাল থেকে রোগীদেরও বের করে আনা হয়। তাদের রাস্তায় রেখে চিকিৎসা দিতে দেখা যায় চিকিৎসকদের।
বালি দ্বীপে কয়েক সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর লম্বোক ও বালি বিমানবন্দরে লোকজনকে আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা যায়।

সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম একটি সম্মেলনে অংশ নিতে ওই সময় লম্বোক দ্বীপেই ছিলেন। ফেইসবুকে তিনি লিখেছেন, হোটেল রুম এমনভাবে কাঁপছিল যে দাঁড়িয়ে থাকাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। 

রিং অব ফায়ারের মধ্যে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়।

সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে থাকা সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর অর্ধেকেরও বেশি প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত ওই রিং অব ফায়ারের মধ্যে অবস্থিত।

দুই বছর আগেও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়, ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারান।