• বল বিকৃতি করেছেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা
• ক্রিকেট ইতিহাসে বেশ কয়েকবারই উঠেছে বল বিকৃতির বিতর্ক
• বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের বিপক্ষে এ অভিযোগ এখনো ওঠেনি
• ব্যাপারটি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের
বল বিকৃতি এখন ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা কেপটাউন টেস্টে যা করেছেন, সেটির জের এখন টানতে হচ্ছে তাঁদের। অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে স্টিভ স্মিথকে। সরে দাঁড়িয়েছেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও। ব্যাপারটা তাঁদের করতে হয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকারের চাপেই। এ থেকেই বোঝা যায়, কতটা নিন্দা আর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে পুরো ব্যাপারটি।
ক্রিকেটে বল বিকৃতি নতুন কোনো বিষয় নয়। অতীতে অনেকবারই এই বিতর্ক উঠেছে, অভিযুক্ত হয়েছেন অনেক ক্রিকেটারই। কেউ কেউ শাস্তির মুখোমুখিও হয়েছেন। তবে গর্বের বিষয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনোই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের বিপক্ষে বল বিকৃতি করে অন্যায় সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠেনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখনো পর্যন্ত ‘সৎ’ থাকলেও ভাবনাটা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে অলক্ষ্যে কোনো বল বিকৃতির ব্যাপার ঘটে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। এর মূল কারণ, ঘরোয়া ক্রিকেটে সঠিক মাত্রায় সতর্কতা অবলম্বনের ঘাটতি। সেখানে যদি বল বিকৃতি হয়ে থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমনটি ঘটে যেতে কতক্ষণ!
ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন কাণ্ড চোখে পড়েনি বলেই জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও হালের অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘আমি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনোই কাউকে বল বিকৃত করতে দেখিনি। বল বিকৃত করে সবাই আবার বলও করতে পারে না। এর জন্য বিশেষ স্কিলের প্রয়োজন হয়। এটা পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ভালো করতে পারে। ওরা সহজে ধরা পড়ে না।’
ক্রিকেটের ‘ঘৃণিত’ এই বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সতর্ক আছে বলেই জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। বিসিবির এই পরিচালক অবশ্য স্বীকার করেছেন, বল বিকৃতি ধরাটা যথেষ্ট কঠিন কাজ, ‘বল বিকৃতি ধরতে অনেক ক্যামেরার প্রয়োজন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যামেরা থাকে না।’ তবে জালাল ইউনুস আশ্বস্ত করেছেন এ ব্যাপারে আম্পায়ারদের ভূমিকা নিয়ে, ‘আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়াররা খুবই সতর্ক থাকে। কেউ যেন বল বিকৃতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে। সব সময়ই বল পরীক্ষা করেন। ব্যাটসম্যানদের অভিযোগ আমলে নেন।’
ক্রিকেট বিশ্বে ধীরে ধীরে বড় জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশ। সে কারণেই সতর্ক থাকাটা খুবই জরুরি। ব্যানক্রফট-স্মিথদের ঘটনা আমাদের নতুন করে সজাগ করে তুলুক।