মারক্রাম-ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে বড় লিডের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
এইডেন মারক্রামের প্রতিভা আর সামর্থ্যের জানান দেওয়া আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস। আবারও আস্থার প্রতিমূর্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স। অস্ট্রেলিয়ানদের সুইং, বাউন্স, রিভার্স সুইং সামলে বাড়তে থাকল দক্ষিণ আফ্রিকার লিড। ব্যাটে-বলে দারুণ লড়াইয়ের দিনটিতে বাড়তি আলোচনার খোরাক জোগাল ক্যামেরন ব্যানক্রফটের দিকে বল টেম্পারিংয়ের সন্দেহের তীর।
কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার তৃতীয় দিন শেষ করেছে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৩৮ রান তুলে। লিড ২৯৪ রানের।
সকালে শেষ উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের দিনের সঙ্গে ১০ রান যোগ করেই শেষ হয় ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৫৬ রানের লিড।
লিড বাড়ানোর অভিযানে ডিন এলগারকে শুরুতে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে আদ্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান এবার ১৪ রানে ফেরেন প্যাট কামিন্সের দারুণ ডেলিভারিতে।
তবে আরেক ওপেনার মারক্রাম খেলেছেন দুর্দান্ত সব শট। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়েন হাশিম আমলার সঙ্গে। ৩১ রান করা আমলাকেও ফেরান কামিন্স।
মারক্রাম এগিয়ে যাচ্ছিলেন সিরিজে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে। তাকে ফেরানোতেও ভূমিকা আছে কামিন্সের। তবে এবার তিনি ক্যাচ নিয়েছেন মিচেল স্টার্কের বলে। ১০ চার ও ২ ছক্কায় মারক্রাম করেন ৮৪ রান।
এই আউটের আগেই টিভি ফুটেজে ধরা পড়ে ব্যানক্রফটের ঘটনা। ছোট্ট এক টুকরো কাপড়ের মতো হলুদ কিছুতে ঘষছিলেন বল। পরে আবার সেটি রেখে দেন পকেটে। আম্পায়াররা ব্যানক্রফটের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন এটি নিয়ে। তবে ৫ রান পেনাল্টি বা অন্য কোনো শাস্তি তাৎক্ষনিকভাবে দেওয়া হয়নি।
ডি ভিলিয়ার্স শুরু করেছিলেন ছক্কায়। পরে নিজেকে সামলে লম্বা ইনিংস খেলায় মন দেন। মিডল অর্ডারে ফাফ দু প্লেসি ও টেম্বা বাভুমা ব্যর্থ আবারও। তবে ফর্ম ফিরে পেতে লড়তে থাকা কুইন্টন ডি কক দেখান সেরা সময়ের কিছু ঝলক। আরেক পাশে ডি ভিলিয়ার্স ছাড়িয়ে যান পঞ্চাশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার অগ্রযাত্রা থামায় আলোর স্বল্পতা। দিনের খেলা শেষ হয় ১৩ ওভার আগেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩১১
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২৫৫
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৭২ ওভারে ২৩৮/৫ (মারক্রাম ৮৪, এলগার ১৪, আমলা ৩১, ডি ভিলিয়ার্স ৫১*, দু প্লেসি ২০, বাভুমা ৫, ডি কক ২৯*; স্টার্ক ১/৪৮, হেইজেলউড ১/৪৬, কামিন্স ২/৪৭, লায়ন ১/৬৯, স্মিথ ০/৬, মিচেল মার্শ ০/১৮)।