হায়দরাবাদের দারুণ জয়ে উজ্জ্বল সাকিব

হায়দরাবাদের দারুণ জয়ে উজ্জ্বল সাকিব
ছবি: বিসিসিআই
বড় ইনিংসের চাওয়া পূরণ হয়নি এদিনও। তবে ব্যাট হাতে গড়েছেন দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করা জুটি। বল হাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দারুণ জয়ে আবারও উজ্জ্বল সকিব আল হাসান।


আগের ম্যাচে ১১৮ রান নিয়েও ম্যাচ জিতেছিল হায়দরাবাদ। পুঁজি এদিনও বেশি ছিল না, ১৩২। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ ও কেন উইলিয়ামসনের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে ধরা দিয়েছে আরও একটি জয়। আইপিএলে বৃহস্পতিবার নিজেদের মাঠে ফর্মে থাকা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ১৩ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ।

আবারও পাঁচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে সাকিব করেছেন ২৮ রান। বল হাতে ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেট দুটি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদ তিন ওভারের মধ্যে হারিয়ে ফেলে দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন (০) ও শিখর ধাওয়ানকে (১১)।

তিনে নামা ঋদ্ধিমান সাহাও ফিরে যান ৬ রান করে। তিনটি উইকেটই নেন পেসার অঙ্কিত রাজপুত। পঞ্চম ওভারে হায়দরাবাদের রান তখন ৩ উইকেটে ২৭।

মনিশ পান্ডের সঙ্গে সাকিবের জুটি সেখান থেকেই টেনে নেয় হায়দরাবাদকে। চতুর্থ উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৫২ রান।

সাকিবের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩ চারে ২৯ বলে ২৮ করে সাকিব আউট হন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে।

উইকেটের চরিত্র বুঝে ঝুঁকির পথে না হেঁটে শেষ পর্যন্ত দলকে এগিয়ে নেওয়ার পথ বেছে নেন মনিশ। আউট হয়েছেন শেষ ওভারে। ৫১ বলে করেছেন ৫৪।

শেষ দিকে একটি করে চার ও ছক্কায় ইউসুফ পাঠান করেছেন ১৯ বলে ২১। হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে যায় ১৩০।

বোলিংয়ে ফিরে আরও দুটি উইকেট নিয়ে রাজপুত করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৪ ওভারে ১৪ রানে ৫ উইকেট।

রান তাড়ায় দুই বিস্ফোরক ওপেনার ক্রিস গেইল ও লোকেশ রাহুল এদিন ছিলেন ভিন্ন চেহারায়। উইকেট বুঝে নিজেদের সহজাত খেলার সঙ্গে আপোস করে দুজন এগোতে থাকেন বল বুঝে রয়েসয়ে। তাতে গড়ে ওঠে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।

হাত থেকে ফসকাতে থাকা ম্যাচ বাঁচাতে দলের সেরা অস্ত্র রশিদ খানের হাতে বল তুলে দেন উইলিয়ামসন। আফগান লেগ স্পিনার পাল্টে দেন ম্যাচের মোড়। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে নিজের প্রথম ওভারে বোল্ড করেন রাহুলকে (২৬ বলে ৩২)।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিস গেইলকে (২২ বলে ২৩) ফিরতি ক্যাচে ফেরান পেসার বাসিল থাম্পি।

তিনে নামা মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে ফিরিয়ে সাকিব পূর্ণ করেন আইপিএলে ৫০ উইকেট। পরে বিপজ্জনক অ্যারন ফিঞ্চও সাকিবের শিকার। ঝুলিয়ে দেওয়া বলে সাকিবকে ছক্কা মেরেছিলেন ফিঞ্চ। পরের বল ঝুলিয়ে দিয়েই ফিঞ্চকে আউট করেন সাকিব।

আক্রমণে ফিরে রশিদ পরে নেন আরও দুটি উইকেট। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানেই শেষ পাঞ্জাব।

স্পেলের শেষ দুই বলে স্বদেশি মুজিব উর রহমানের রিভার্স সুইপে দুটি বাউন্ডারি হজম করেন রশিদ। এরপরও ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তার উইকেট তিনটি। গত ১৯ এপ্রিল পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৫ রান। ফিরতি ম্যাচে নিলেন প্রতিশোধ।

সাকিবর পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার সন্দিপ শর্মা ও বাসিল থাম্পি।

এই ম্যাচের পর ৭ ম্যাচে সমান ৫টি করে জয় হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাবের। ৬ ম্যাচের ৫টি জিতে শীর্ষে চেন্নাই সুপার কিংস।

ট্যাগ :
সাকিবআইপিএল