বরখাস্ত হলেন ক্রিমার, স্ট্রিক, ক্লুজনার, টাইবুরা
বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব উতরাতে না পারার ব্যর্থতা বড় এক ঝড় বইয়ে দিল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রিমারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তো বটেই, বরখাস্ত করা হয়েছে প্রধান কোচ হিথ স্ট্রিকসহ কোচিং স্টাফের সবাইকে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধান নির্বাচক টাটেন্ডা টাইবুকেও।
দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে সংযু্ক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৩ রানে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। ১৯৭৯ বিশ্বকাপের পর আগামী বিশ্বকাপেই প্রথমবার থাকছে না জিম্বাবুয়ে।
সেই ব্যর্থতার খেসারতই দিতে হলো সবাইকে। জিম্বাবুয়ের সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন, ক্রিমারের জায়গায় আবার নেতৃত্বে ফেরানো হবে ব্রেন্ডন টেইলরকে।
কাউন্টি ক্রিকেট থেকে টেইলরকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে ফিরতে রাজি করিয়েছিলেন যিনি, সেই টাইবুকেও রেহাই দেয়নি বোর্ড। গত কিছুদিনে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন আনা টাইবুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে তাতে সৃষ্টি হতে পারে নতুন সঙ্কট।
চাকরি হারানোদের তালিকায় আছেন মূল কোচ স্ট্রিক, ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনার, বোলিং কোচ ডগলাস হন্ডো, ফিল্ডিং কোচ ওয়াল্টার চাওয়াগুতা, ফিটনেস ট্রেনার শন বুল ও কম্পিউটার অ্যানালিস্ট স্ট্যানলি চিওজা।
শুধু জাতীয় দলের কোচিং স্টাফই নয়, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ স্টিভেন মাঙ্গোঙ্গেসহ বরখাস্ত করা হয়েছে বোর্ডের অন্য সব কোচদেরও।
অন্যান্য কোচদের বরখাস্তের কারণেই ধারণা করা হচ্ছে, শুধু বাছাইপর্বে ব্যর্থতাই নয়, আর্থিক সঙ্কটও গণহারে বরখাস্তের একটি কারণ। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই চলে আসা আর্থিক সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে সম্প্রতি। বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায়ও প্রভাব পড়বে বোর্ডের আয়ে। গত মাসে কর্মচারীদের বেতনের কেবল ৪০ শতাংশই দিতে পেরেছে বোর্ড।