ইউএস-বাংলা দুর্ঘটনা: মরদেহ দেশে আসতে ‘আরও সময় লাগবে’
নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের সবার মরদেহ শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
বুধবার নেপালের একটি হাসপাতালে দুর্ঘটনায় হতাহতদের খোঁজ নিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “ফরেনসিক বিভাগের ময়নাতদন্ত শেষ করতে আরও চার দিন সময় লাগবে। তারপর তারা স্বজনদের তালিকার সাথে মিলিয়ে তথ্য নিশ্চিত করে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিৎ করবেন। মরদেহ ফেরত পাঠাতে পরে হয়ত আরও ২-১ দিন বেশি লাগতে পারে।”
পুড়ে যাওয়ার কারণে যাদের মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ মেলানোর দরকার হবে, তাদের ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে জানান তিনি।
ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ সোমবার ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় নিহত অনেকের লাশ ও জাতীয়তা শনাক্ত করতে সমস্যা পড়েছে নেপালি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনায় মোট ৪৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি। পরে নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দেয়, নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১ জন, তাদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি।
রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। সময় টিভির স্ক্রিনশট রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। সময় টিভির স্ক্রিনশট এসব বিষয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস সাংবাদিকদের বলেন, সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করার পর দেশে কীভাবে পাঠানো হবে তা নিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
নেপালে স্বজনদের খোঁজে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে না- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হাসপাতালে থাকছেন। দূতাবাসেও একটি কো অর্ডিনেশন সেন্টার খোলা হয়েছে।”
ইউএস বাংলার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বুধবার ঢাকার বারিধারার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এলে তারা যে কোনো মুহূর্তে নেপাল থেকে মরদেহগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসতে প্রস্তুত।
এদিকে ওই দুর্ঘটনার কারণে সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসার পর বুধবার ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত বাংলাদেশিদের দেশে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে বার্ন ইউনিটের দক্ষ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি চিকিৎসা দল কাঠমান্ডুতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং মৃতদের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহের জন্য পুলিশের একটি দলকেও নেপাল পাঠানো হচ্ছে বলে জানান মুখ্য সচিব।
“তারা (আহতরা) যদি রাজি হন তাহলে তাদেরকে আমাদের বার্ন ইউনিটে এনেও চিকিৎসা দেওয়া হবে। কারণ আমাদের বার্ন ইউনিটে খুবই উন্নত চিকিৎসা হয়।”
নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের সবার মরদেহ শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
বুধবার নেপালের একটি হাসপাতালে দুর্ঘটনায় হতাহতদের খোঁজ নিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “ফরেনসিক বিভাগের ময়নাতদন্ত শেষ করতে আরও চার দিন সময় লাগবে। তারপর তারা স্বজনদের তালিকার সাথে মিলিয়ে তথ্য নিশ্চিত করে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিৎ করবেন। মরদেহ ফেরত পাঠাতে পরে হয়ত আরও ২-১ দিন বেশি লাগতে পারে।”
পুড়ে যাওয়ার কারণে যাদের মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ মেলানোর দরকার হবে, তাদের ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে জানান তিনি।
ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ সোমবার ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় নিহত অনেকের লাশ ও জাতীয়তা শনাক্ত করতে সমস্যা পড়েছে নেপালি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনায় মোট ৪৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি। পরে নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দেয়, নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১ জন, তাদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি।
রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। সময় টিভির স্ক্রিনশট রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। সময় টিভির স্ক্রিনশট এসব বিষয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস সাংবাদিকদের বলেন, সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করার পর দেশে কীভাবে পাঠানো হবে তা নিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
নেপালে স্বজনদের খোঁজে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে না- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হাসপাতালে থাকছেন। দূতাবাসেও একটি কো অর্ডিনেশন সেন্টার খোলা হয়েছে।”
ইউএস বাংলার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বুধবার ঢাকার বারিধারার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এলে তারা যে কোনো মুহূর্তে নেপাল থেকে মরদেহগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসতে প্রস্তুত।
এদিকে ওই দুর্ঘটনার কারণে সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসার পর বুধবার ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত বাংলাদেশিদের দেশে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে বার্ন ইউনিটের দক্ষ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি চিকিৎসা দল কাঠমান্ডুতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং মৃতদের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহের জন্য পুলিশের একটি দলকেও নেপাল পাঠানো হচ্ছে বলে জানান মুখ্য সচিব।
“তারা (আহতরা) যদি রাজি হন তাহলে তাদেরকে আমাদের বার্ন ইউনিটে এনেও চিকিৎসা দেওয়া হবে। কারণ আমাদের বার্ন ইউনিটে খুবই উন্নত চিকিৎসা হয়।”