আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেছেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। একটি করে গোল করেছেন রবিউল ইসলাম ও বিপলু আহমেদ।
৮০ বা ৯০ দশক হলে এই শিরোনামে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪ গোল । এ আর এমন কী! কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ৪-১ গোলের জয় বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যেখানে গোলের জন্য হাপিত্যেশ করতে হয় দেশের ফরোয়ার্ডদের। সেখানে কোনো দলের বিপক্ষে চার গোল বড় স্বস্তিরই। এর আগে ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাইয়ে নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। আর এই ভুটানকেই ২০০৯ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এত বড় জয়ের পর বাংলাদেশ দলে বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই। পরাজিত ভুটানের মধ্যেও নেই হতাশা। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে প্রীতি ম্যাচ থেকে প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয় রসদ যে সংগ্রহ করে নিয়েছে দু'দলই । তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে গ্যালারিতে আসা প্রায় হাজার খানেক দর্শকদের মন পুরোপুরি নাও ভরতে পারে। স্বাগতিকদের পায়ে ৪ গোল দেখলেও কাদার মাঠে বারবার বল আটকে যাওয়ার চোখের জন্য সুখকর ছিল না খেলাটি।
প্রীতি ম্যাচের গায়ে অদৃশ্য অক্ষরে বাংলাদেশ কোচ লিখে দিয়েছিলেন তাঁর প্রত্যাশা—র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ও বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস। ৪-১ গোলের জয়ে দুইটি ইচ্ছায় পূরণ হয়েছে জেমির। এই জয়ে র্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট তো বাড়বেই , সঙ্গে কাতার ও ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার বাড়তি আত্মবিশ্বাস মিলবে। তবে জেমির জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর প্রতিপক্ষের জালে বাংলাদেশের ৪ গোল। একটা গোলের যেভাবে প্রতিপক্ষ পোস্টের সামনে মাথা কুড়ে মরতে হয় বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডের। অন্তত আজকের পরে গোল করার অভ্যাসটা থাকবে নাবীব নেওয়াজ জীবন, রবিউল হাসানদের। জীবনের জোড়া গোলের সন্ধ্যায় একটি করে গোল করেছেন রবিউল ও বিপলু আহমেদ।
শেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা একাদশে একটি পরিবর্তন এনে দল সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। চোটের কারণে সেন্টারব্যাক টুটুল হোসেন বাদশার স্থলে রিয়াদুল হাসান। আজই জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই ডিফেন্ডারের। বড় জয়ে অভিষেকটা হয়ে থাকল স্মরণীয়। এ ছাড়া তাঁকে তেমন পরীক্ষা দিতে হয়নি ভুটানিজ আক্রমণভাগের সামনে। সারা বছর টার্ফের মাঠে খেলা ভুটানিজরা আজ কাদার মাঠে খেই হারিয়েছে বারবার।
তবে আজ বড় খেলটা দেখিয়েছেন জেমি। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে জীবনকে নাম্বার নাইন থেকে সরিয়ে এনে ১০ নাম্বার পজিশনে খেলানোতেই বাজিমাত। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে এই পজিশনে খেলেই শেষ মৌসুমে করেছিলেন ১৭ গোল। আজ জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথমবারের মতো মূল স্ট্রাইকারের পেছন থেকে খেলেই বাংলাদেশের জান হয়ে উঠলেন জীবন।
জাতীয় দলের গোল ‘মিস মাস্টার’ খ্যাত এই স্ট্রাইকার যেন আজ পণ করেই নেমেছিলেন দূর করবেন গোলের হতাশা। গোলের খাতা খুললেন ১২ মিনিটে। হেডে। জামালের ক্রসে গোলমুখ থেকে মাথা ছুঁয়ে জালে পাঠিয়েছেন। ৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি অনেক দিন চোখ লেগে থাকার কথা। ডান প্রান্ত থেকে ইব্রাহিমের ক্রসে দুর্দান্ত সাইড ভলিতে, ২-০।
প্রথমার্ধেই ২-০ গোলের লিড। মনে হচ্ছিল হেসে খেলে জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সে আশায় একটু দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে দেন দর্জি। ৫১ মিনিটে জটলা থেকে ২-১ করেন ভুটানিজ এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু এর পরে আর বাংলাদেশের পোস্টের দিকে মাথা তুলেই তাকাতে পারেনি চেনচো গেইলশেইনের দল। ভুটানিজ এই তারকাকে আজ চিনতে হয়েছে ক্যাপ্টেন ব্যাজ ও জার্সি নম্বর দেখে। অবশ্য কাঁদা মাঠে তাঁর ভালো করার নজিরও নেই।
৭৪ মিনিটে ৩-১ করেছেন বিপলু। সোহেল রানার পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলটি করেছেন এই উইঙ্গার। এর ৭ মিনিট পরেই বদলি রবিউলের গোলে পূর্ণ হয় এক হালি।
ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি ৩ অক্টোবর এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই।
৮০ বা ৯০ দশক হলে এই শিরোনামে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪ গোল । এ আর এমন কী! কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ৪-১ গোলের জয় বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যেখানে গোলের জন্য হাপিত্যেশ করতে হয় দেশের ফরোয়ার্ডদের। সেখানে কোনো দলের বিপক্ষে চার গোল বড় স্বস্তিরই। এর আগে ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাইয়ে নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। আর এই ভুটানকেই ২০০৯ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এত বড় জয়ের পর বাংলাদেশ দলে বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই। পরাজিত ভুটানের মধ্যেও নেই হতাশা। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে প্রীতি ম্যাচ থেকে প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয় রসদ যে সংগ্রহ করে নিয়েছে দু'দলই । তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে গ্যালারিতে আসা প্রায় হাজার খানেক দর্শকদের মন পুরোপুরি নাও ভরতে পারে। স্বাগতিকদের পায়ে ৪ গোল দেখলেও কাদার মাঠে বারবার বল আটকে যাওয়ার চোখের জন্য সুখকর ছিল না খেলাটি।
প্রীতি ম্যাচের গায়ে অদৃশ্য অক্ষরে বাংলাদেশ কোচ লিখে দিয়েছিলেন তাঁর প্রত্যাশা—র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ও বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস। ৪-১ গোলের জয়ে দুইটি ইচ্ছায় পূরণ হয়েছে জেমির। এই জয়ে র্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট তো বাড়বেই , সঙ্গে কাতার ও ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার বাড়তি আত্মবিশ্বাস মিলবে। তবে জেমির জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর প্রতিপক্ষের জালে বাংলাদেশের ৪ গোল। একটা গোলের যেভাবে প্রতিপক্ষ পোস্টের সামনে মাথা কুড়ে মরতে হয় বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডের। অন্তত আজকের পরে গোল করার অভ্যাসটা থাকবে নাবীব নেওয়াজ জীবন, রবিউল হাসানদের। জীবনের জোড়া গোলের সন্ধ্যায় একটি করে গোল করেছেন রবিউল ও বিপলু আহমেদ।
শেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা একাদশে একটি পরিবর্তন এনে দল সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। চোটের কারণে সেন্টারব্যাক টুটুল হোসেন বাদশার স্থলে রিয়াদুল হাসান। আজই জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই ডিফেন্ডারের। বড় জয়ে অভিষেকটা হয়ে থাকল স্মরণীয়। এ ছাড়া তাঁকে তেমন পরীক্ষা দিতে হয়নি ভুটানিজ আক্রমণভাগের সামনে। সারা বছর টার্ফের মাঠে খেলা ভুটানিজরা আজ কাদার মাঠে খেই হারিয়েছে বারবার।
তবে আজ বড় খেলটা দেখিয়েছেন জেমি। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে জীবনকে নাম্বার নাইন থেকে সরিয়ে এনে ১০ নাম্বার পজিশনে খেলানোতেই বাজিমাত। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে এই পজিশনে খেলেই শেষ মৌসুমে করেছিলেন ১৭ গোল। আজ জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথমবারের মতো মূল স্ট্রাইকারের পেছন থেকে খেলেই বাংলাদেশের জান হয়ে উঠলেন জীবন।
জাতীয় দলের গোল ‘মিস মাস্টার’ খ্যাত এই স্ট্রাইকার যেন আজ পণ করেই নেমেছিলেন দূর করবেন গোলের হতাশা। গোলের খাতা খুললেন ১২ মিনিটে। হেডে। জামালের ক্রসে গোলমুখ থেকে মাথা ছুঁয়ে জালে পাঠিয়েছেন। ৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি অনেক দিন চোখ লেগে থাকার কথা। ডান প্রান্ত থেকে ইব্রাহিমের ক্রসে দুর্দান্ত সাইড ভলিতে, ২-০।
প্রথমার্ধেই ২-০ গোলের লিড। মনে হচ্ছিল হেসে খেলে জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সে আশায় একটু দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে দেন দর্জি। ৫১ মিনিটে জটলা থেকে ২-১ করেন ভুটানিজ এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু এর পরে আর বাংলাদেশের পোস্টের দিকে মাথা তুলেই তাকাতে পারেনি চেনচো গেইলশেইনের দল। ভুটানিজ এই তারকাকে আজ চিনতে হয়েছে ক্যাপ্টেন ব্যাজ ও জার্সি নম্বর দেখে। অবশ্য কাঁদা মাঠে তাঁর ভালো করার নজিরও নেই।
৭৪ মিনিটে ৩-১ করেছেন বিপলু। সোহেল রানার পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলটি করেছেন এই উইঙ্গার। এর ৭ মিনিট পরেই বদলি রবিউলের গোলে পূর্ণ হয় এক হালি।
ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি ৩ অক্টোবর এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই।