৯৩ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস উপহার দেন শ্রেয়াস। ছবি: এএফপি
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫৫ রানে হারিয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ২১৯ রান সংগ্রহ করে।
জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয় কলকাতা।
ছয় ম্যাচে মাত্র একটা জয়। দলের এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে না পেরে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের গৌতম গম্ভীর। এরপর বাদ পড়লেন ম্যাচ থেকেও। নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকেই। শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটে চড়েই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫৫ রানের জয় পেয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। হারতে থাকা দলটি হয়তো এমন অধিনায়কই চেয়েছিল। যে কিনা সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবেন; উপহার দেবেন এমন রাজসিক জয়।
শুক্রবার রাতের ম্যাচে নিজেদের মাঠে দুর্দান্ত খেলেছে দিল্লি। টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয় দিল্লির। প্রথম উইকেট জুটিতে দিল্লির ভিত শক্ত হয়। দিল্লির তরুণ ওপেনার পৃথ্বী সাতটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৪৪ বলে ৬২ রান করেন। আরেক ওপেনার নিউজিল্যান্ডের কলিন মুনরো ১৮ বলে করেন ৩৩ রান। সপ্তম ওভারে শিভাম মাভির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুনরো। এর আগেই উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান তোলে দিল্লি।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ১৪তম ওভারে ১২৭ রানে পৃথ্বীকে হারায় দিল্লি। তবে এতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি দিল্লিকে। ৪০ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস উপহার দেন শ্রেয়াস। যদিও শুরুতে খানিকটা রয় সয়ে খেলেন শ্রেয়াস। পুরো ইনিংসে দশটি ছক্কা হাঁকান দিল্লির নতুন এই অধিনায়ক। কলকাতার শিভামের করা শেষ ওভারেই তোলেন ২৮ রান। তাঁর ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট খরচ করে ২১৯ রানের পাহাড় বানায় দিল্লি। ২১৯ রান আইপিএলের এই আসরে দিল্লির সর্বোচ্চ স্কোর।
কলকাতার হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন পিযুশ চাওলা, শিভাম মাভি ও অ্যান্ড্রু রাসেল।
জবাব দিতে নেমে ২২০ রানের বিশাল লক্ষ্যের নিচেই চাপা পড়েন কলকাতার ব্যাটসম্যানরা। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নারাইন করেছেন ২৬। বাকিরা আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। শুভমান গিল ৩৭ ও অ্যান্ড্রু রাসেল ৪৪ রান না করলে কলকাতা ১৬৪ করতে পারত কিনা সন্দেহ থেকেই যায়। ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে কলকাতা ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয়।
দিল্লির পক্ষে দুইটি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, আভেশ খান ও অমিত মিশরা।