ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে চীন সফরে কিম!

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে চীন সফরে কিম!
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন এখন প্রতিবেশী দেশ চীনে অবস্থান করছেন। চীনে তার এই সফরটি একেবারেই আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত। তাছাড়া তিনি কখনই বিদেশ সফরে যান না। এর আগে একবারই তিনি দেশের বাইরে পা রেখেছিলেন। সেটাও বহ আগে ২০১১ সালে।

অতি গোপনীয়তা আর নিশ্ছিদ্র, নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে সোমবার ২৬ মার্চ কিম জং উন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গিয়ে পৌঁছান।

সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, তার এই চীনযাত্রা উড়োজাহাজে করে নয়, বরং সবুজ রঙা একটি মিলিটারি ট্রেনে। এই ট্রেনটির নিরাপত্তা এমনই ছিল যে, বুঝতে কারো বাকি ছিল না যে, উত্তর কোরিয়া থেকে খুব উচ্চ পর্যায়ের কেউ এসেছেন। আর হতে পারেন তিনি স্বয়ং কিম জং উন।

চীন ও উত্তর কোরিয়া দুদেশের তরফ থেকেই এ ব্যাপারে ‘মুখে কুলুপ আঁটা’ নীতি বজায় রাখা হয়। এমনকি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত দাবি করেছে এরকম কিছু তাদের জানা নেই।

কিন্তু যতোই ঢাক-ঢাক গুর্ গুর্ করা হোক এরই মধ্যে কিমকে বহনকারী ট্রেনের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে দিয়েছে টোকিও-ভিত্তিক নিপ্পন নিউজ নেটওয়ার্ক।

ফুটেছে একটি সবুজ ট্রেনকে বেইজিংয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এরকম সবুজ রঙা ট্রেনে কিম জং উনের পিতা কিম জং ইলও ভ্রমণ করতেন। কিমের পিতা (বর্তমানে প্রয়াত) কিম জং ইল যখন বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন তখনও ব্যাপারটা চীন বেমালুম গোপন করেছিল। এবারও তা-ই হলো। কিম জং ইল সফর শেষ করে চলে যাবার পরই কেবল চীন তা প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য, উড়োজাহাজে চড়তে ভয় পেতেন কিম জং উনের বার কিম জং ইল। তাই তিনি ট্রেনে ভ্রমণই পছন্দ করতেন।

কিম জং উনের এই চীন সফরটি হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে। কেননা ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের অভূতপূর্ব, ঐতিহাসিক এক বৈঠক হতে যাচ্ছে। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে। কিম জং উনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।