• ব্যবহারকারীর তথ্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানে তুলে দেয় মোদির অ্যাপ।
• কংগ্রেসও একই কাজ করে, অভিযোগ বিজেপির।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। অভিযোগ, মোদির ওই অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দিচ্ছে, তাও আবার অ্যাপ ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছে মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি।
মোদির অ্যাপটি শুধু অ্যান্ড্রয়েডেই ডাউনলোড হয়েছে ৫০ লাখের বেশিবার। এই অ্যাপ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে এনডিটিভি।নিরাপত্তাবিষয়ক এক গবেষক টুইটে লেখেন, মোদির অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাবলি তৃতীয় পক্ষের ডোমেইনে দিয়ে দিচ্ছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি বলেছে, তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে তথ্য বিশ্লেষণের কাজে। উদ্দেশ্য ছিল, সব গ্রাহক বা ব্যবহারকারীকে ‘সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু’ দেওয়ার জন্য তাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করা।
এলিয়ট আল্ডারসন ছদ্মনামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই গবেষক গত শনিবার একের পর এক টুইট করেন। সেখানেই মোদির অ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।
প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইটে মোদিকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘আমার নাম নরেন্দ্র মোদি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আপনারা যখন আমার অ্যাপে নিবন্ধন করবেন, আমি আপনাদের সব তথ্য আমার বন্ধু আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে দিয়ে দেবে।’ পাশাপাশি রাহুল মূলধারার গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান এ ধরনের প্রতিবেদন সামনে নিয়ে আসার জন্য।
রাহুলের টুইটের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি লিখেছে, মনোযোগ ভিন্ন খাতে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। কারণ, গত সপ্তাহেই ভারতের আইন ও আইটি-বিষয়ক মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন, তথ্য বিশ্লেষণকারী বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকার সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী দল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।