![]() |
সাদিয়া ফয়জুন্নেসা আরও বলেছেন, ‘আমরা এটা (মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার) করার চেষ্টা করব। বাংলাদেশে আমরা একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চাই। মেসি (বাংলাদেশে) খুব জনপ্রিয়। আমরাও ফুটবলের জন্য আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসি। তাই আমাদের দেশে তাকে (মেসি) পাওয়া হবে সম্মানের ব্যাপার।’
আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধনের কথাও বলেছেন সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, ‘আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর আর্জেন্টিনা দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল আমাদের।’
ডিয়েগো ম্যারাডোনার কারণে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি, ‘ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীন থাকায় ফুটবল (বাংলাদেশে) সব সময়ই জনপ্রিয় ছিল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং কিংবদন্তিতে পরিণত হন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আমার মনে আছে, বাংলাদেশের অনেক মানুষ তখন বিশ্বকাপ দেখেছে।’
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিয়েও কথা বলেছেন সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, ‘বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ আর্জেন্টিনার খেলা দেখেন। ছোটবেলায় আমরা ঘরে বসে খেলা দেখেছি। কিন্তু এখন বিভিন্ন শহরে বড় পর্দায় দেখানো হয়। রাত তিনটায় লোকজন জড়ো হয়ে খেলা দেখেন।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন লিওনেল মেসি। সেবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখার স্মৃতি অনেকেই সারা জীবন মনে রাখবেন।