কে এই আফ্রিদি? ৪ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে উড়লেন আফ্রিদি।
• পাকিস্তান সুপার লিগে টানা ছয় ম্যাচে হেরেছিল লাহোর কালান্দার্স
• আজ সপ্তম ম্যাচে এসে জিতেছে লাহোর
• ৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন আফ্রিদি
শুরুর টানা ছয় হার। হারের এমন ডাবল হ্যাটট্রিকের পর কোন অধিনায়কেরই বা মন ভালো থাকে! রাগে-ক্ষোভে তাই লাহোর কালান্দার্স অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। আজ যখন প্রতিপক্ষ মুলতান সুলতান ২ উইকেটে ৯৩ রান তুলে ফেলল, ম্যাককালামের পদত্যাগের সময়টা উঁকি দিচ্ছিল বাউন্ডারি লাইনে। আর তখনই বোলিংয়ে এলেন আফ্রিদি, দলের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে। ১৪তম ওভারে! আর এরপরই কী জাদুটাই না দেখালেন বল হাতে!
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সুপার লিগে সপ্তম ম্যাচে এসে জিতল লাহোর। মুলতান সুলতানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। ৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়ে জয়ের নায়ক আফ্রিদি। এ আফ্রিদি মারকুটে ব্যাটসম্যান শহীদ আফ্রিদি নন। তিনি শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বছর বয়সী এ পেসার এখন দুবাইয়ে চলমান পিএসএলের নতুন ‘শাহেন শাহ’। তাঁর বোলিং তোপে মাত্র ১৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে মুলতান। অলআউট হয়েছে ১১৪ রানে। ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে লাহোর।
শাহিন আফ্রিদি পুরো ৪ ওভার বোলিং করার সুযোগই পাননি। ২ বল বাকি ছিল। তাতে ১ মেডেন দিয়ে মাত্র ৪ রান! তবে কি পাকিস্তান নতুন বোলিং তারকা পেয়ে গেল? খুব বেশি উচ্ছ্বসিত এখনই না হলে ভালো। আগের তিন ম্যাচে বল হাতে সুবিধা করতে পারেননি। উইকেটই পাননি। এরপর তো দল থেকে বাদই পড়লেন। আজ ফিরলেও বল হাতে পাচ্ছিলেন না। ব্যাট হাতে কিছু করার সুযোগ নেই, ১০-১১তে নামেন। যা করার বল হাতেই করতে হতো।
১৪তম ওভারে বল পেয়েও তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে দিয়েছিলেন ২ রান। এ কারণে হয়তো আবার বল পেয়েছিলেন। তখনই জীবনের সেরা বোলিংটা শুরু করলেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান না দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট! তৃতীয় ওভারে ১ রান। শেষ ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট।
নাম ছাড়া শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে আর কিছুতে মিল নেই। তিনি বাঁ হাতি। আবার স্পিনারও নন। ব্যাটিংয়ে আফ্রিদির অন্য রূপটা পেয়েছেন। এবার তিন ইনিংসে মেরেছেন দুটি ডাক! অন্যটিতে ১ রান করে আউট না হলে ডাকের হ্যাটট্রিকটা হয়ে যেত।
নামের মিলের কারণটা সম্ভবত শাহিনও খাইবার প্রদেশের। এখানে আফ্রিদি পরিচয়টা বেশ বড়ই। কিছুদিন আগে খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। বয়সও কম। যদি নিজের এই বোলিং জাদু আরও দেখাতে পারেন, এক আফ্রিদির শূন্যতা আরেক আফ্রিদিতে পূরণের স্বপ্ন দেখতে পারে পাকিস্তান।