ব্রাজিল কোচে মুগ্ধ :পেলে

ব্রাজিল কোচে মুগ্ধ পেলে
ব্রাজিল দলে তিতের কোচিংয়ের প্রশংসা করেছেন পেলে। দেশটির ফুটবল কিংবদন্তির মতে, বর্তমান সময়ে এই দলে কোচিং করানোটা আগের চেয়ে কঠিন।

কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরে ব্রাজিলের বাজে পারফরম্যান্সের পর ২০১৬ সালের জুনে কোচ দুঙ্গার জায়গায় দায়িত্বে আসেন তিতে।

৫৬ বছর বয়সী এই কোচের অধীনে দারুণ খেলছে দল। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দাপট দেখানো সেলেসাওদের রাশিয়ায় চূড়ান্ত আসরেও অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। দলের এমন নৈপুণ্যে এরই মধ্যে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিতে।

চলতি মাসের শেষ দিকে রাশিয়া ও জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেন ব্রাজিল কোচ। এই দলে তার ডাক পেয়েছে ব্রাজিলের ঘরোয়া-ভিত্তিক খেলোয়াড়দের মাত্র তিনজন। বর্তমান ব্রাজিল দলে তিতে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন তাতে সহানুভূতি প্রকাশ করলেন পেলে।

ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ জেতা এই খেলোয়াড় ইএসপিএনকে বলেন, “আমি বলতে চাই না যে, আমি তিতেকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দেওয়াদের একজন ছিলাম। সে কী অর্জন করতে পারে তা নিয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। কী ঘটবে এটা ঈশ্বর ছাড়া কেউই বলতে পারে না। কেবল ঈশ্বরই জানেন ভবিষ্যতে কী ঘটবে।”

 “তবে তিতের ক্ষেত্রে, যখনই আমি তার সাথে থেকেছি বা তার সাথে কথা বলেছি আমি অনুভব করেছি, অনেক দিক থেকেই সে সিরিয়াস একজন ব্যক্তি। সে সবসময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতো। সবাই যেহেতু নিখুঁত না, তারও ভুল হতে পারে।”
“তিতে বলেছিল, ‘পেলে, আমি যদি ব্রাজিলের কোচ হওয়ার সুযোগ পাই এবং বেশ কিছু  দিন থাকতে পারি, আমি এমন একটা দল গড়ে তুলতে চাই যারা দুই-তিন বছর খেলতে পারবে। ফলে একে-অপরকে আরও ভালো করে বুঝতে পারবে’।”

“মজা করে এটাও সে বলে, ‘আপনি যে দলের অংশ ছিলেন আমি তেমন দল গড়তে পারব না। আপনার দিনগুলোতে বিদেশে খেলার জন্য ব্রাজিলের সেরা খেলোয়াড়রা দেশ ছাড়তো না। খুব কম খেলোয়াড়ই বিদেশে খেলতে যেত।”

“‘ওই সময়টায় ব্রাজিল দলে কোচিং করানোটা সহজ ছিল। খেলোয়াড়রা ছিল দারুণ, তাই জাতীয় দল গড়াটা তুলনামূলক সহজ ছিল। আধুনিক যুগে সব জায়গায় আমাকে খোঁজ রাখতে হয়। বিশ্বের প্রত্যেকটা অংশে তিন-চার জন ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় খেলছে। এটা এখন কঠিন। তবে আমি এমন একটা দল গড়তে চাই, যেটা হতে পারে ভারসাম্যপূর্ণ।’”

“ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, সে যেন তার লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারে।”