ব্যথা নিয়েই খেলতে হয়েছে তামিমকে

ব্যথা নিয়েই খেলতে হয়েছে তামিমকে
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ব্যাটিং করলেও ফিল্ডিং করতে পারেননি ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলতে গিয়ে রানআউট থেকে বাঁচতে ডাইভ দিয়ে বাঁ হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজন ছিল বিশ্রামের। কিন্তু উপায় ছিল না। বাংলাদেশ তখন নিদাহাস ট্রফি খেলতে শ্রীলঙ্কায়। সাকিব আল হাসান নেই, অগ্যতা ব্যাথা নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে তামিমকে।

এরপর ব্যথা নিয়েই কলম্বো থেকে লাহোরে যান পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে। ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় সেই ম্যাচ খেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ব্যাংকক যান তিনি। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবেই তামিম ব্যথামুক্ত হতে পারছেন না বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।

গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তামিম বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যথা অনুভব করলেও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পাননি তামিম। আমরা ওকে বিশ্রাম দিতে পারলে অনেক আগেই সে সুস্থ হতে পারত। কিন্তু তা সম্ভব ছিল না। বিশ্রাম না নিয়ে খেলার কারণেই ব্যথাটা আস্তে আস্তে বেড়েছে এবং সেটি দ্রুত সারছে না।’

গত সপ্তাহে ব্যাংক থেকে দেশে ফিরেছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম। দেবাশীষ চৌধুরী আরো জানান, ‘তামিমের ইনজুরি তেমন গুরুতর নয়। তবে এ ব্যাপারে ধীরে সুস্থে এগোনোই ভালো। আশা করি, চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তামিমের বাঁ হাটু ব্যথামুক্ত হয়ে যাবে। তামিমকে পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে। আমরা তাকে কোনো ইনজেকশন কিংবা ওষুধ দেবো না, শুধু ব্যথা কমানোর জন্য থেরাপি দেবো।’



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাশরাফি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস টি-২০ প্রীতিম্যাচে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠে ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বাধীন শেখ কামাল একাদশকে ২০ রানে হারায় সাধারণ সম্পাদক নেতৃত্বাধীন শেখ জামাল একাদশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শেখ জামাল একাদশ ২০ ওভারে ২১৪ রান করে। জবাবে নির্দিষ্ট ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করতে পারে শেখ কামাল একাদশ।

ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে মাঠে আসেন মাশরাফি? তাকে একনজর দেখতে ও তার সাথে সেলফি তুলতে ভিড় জমে যায়। শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের উদ্দেশে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা যখন কোনো ম্যাচ জিতি, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দমিছিল হয়। এ আনন্দ-উল্লাস আমরা টিভিতে দেখি। আমাদের ভালো লাগে। আজকের এ প্রীতি ম্যাচের কথা সোহাগ ভাই (ছাত্রলীগ সভাপতি) ও জাকির ভাই (সাধারণ সম্পাদক) বেশ কিছু দিন ধরে বলছিলেন। অবশেষে এটা হলো। এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’ প্রীতিম্যাচে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার আরিফ খান জয়।