সামরিক সম্ভার নিয়ে সিরিয়ার পথে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

মধ্যপ্রাচ্য
সামরিক সম্ভার নিয়ে সিরিয়ার পথে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ
সিরিয়া সমস্যা থেকেই কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘন্টা বাজবে? এই প্রশ্নই এখন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে৷ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সিরিয়ার বিরুদ্ধে যেখানে আমেরিকা এবং তার সহযোগী দেশগুলি সরব, সেখানেই সিরিয়ার সরকার আমেরিকার পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে৷

কিছু রিপোর্টে জানা গেছে, রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ সিরিয়ার দিকে এগিয়ে আসছে৷ সূত্রের খবর, রোববার সিরিয়ার দিকে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজকে এগিয়ে যেতে দেখা রগছে৷ এতে ট্যাংক, মিলিটারি ট্রাক এবং অস্ত্রসহ নৌকাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷

এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসঙ্ঘ৷ উদ্বিগ্ন উত্তর কোরিয়ার কার্যকলাপ নিয়েও৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের আশঙ্কা উত্তর কোরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন উপাদান সিরিয়ায় সরবরাহ করছে৷

উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা পালন করছে কিনা তার তদারকিতে থাকা কমিটি একটি বিশেষ রিপোর্ট তৈরি করেছে৷ সেই রিপোর্ট প্রকাশিত না হলেও, ফাঁস হয়েছে বলে খবর৷ রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে৷

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া বেআইনিভাবে সিরিয়ায় উচ্চ-তাপসহ, অ্যাসিড প্রতিরোধক টাইলস, ক্ষয়প্রতিরোধক ভালভ ও থার্মোমিটার পাঠিয়েছে। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করেছে এমন অভিযোগও উঠেছে৷


পরিস্থিতি স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের চেয়েও খারাপ : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিবিসি
রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলো এখন ‘স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের চেয়েও খারাপ’ এক পরিস্থিতির মুখোমুখিÑ বলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে যখন রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সংস্থার এক বৈঠকে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র বাদানুবাদ চলছে, তখন মিস্টার ল্যাভরভ এ কথা বললেন।
বিবিসিকে দেয়া এক সাাৎকারে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি এখন খুবই বিপদজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের চালানো হামলাকে আগ্রাসন বলে বর্ণনা করেন।

সিরিয়ার দুমায় কথিত যে রাসায়নিক হামলার জবাবে পশ্চিমা দেশগুলোর ওই হামলা, তার পেছনে বাশার আসাদ সরকারের কোনো হাত থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেন।

রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু সম্প্রতি দুইপরে সম্পর্কের যে মারাত্মক অবনতি ঘটেছে, তাতে সেই আশঙ্কা এখন আরো জোরালো হয়ে উঠেছে।

ঠিক এ রকম এক পটভূমিতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, এর একটি প্রধান কারণ দুইপরে মধ্যে আলোচনা বা যোগাযোগের কোনো চ্যানেল বা মাধ্যম না থাকা, যা স্নায়ুযুদ্ধের সময় ছিল। তিনি এ জন্য অবশ্য দায়ী করেন ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে।
তিনি বলেন, রাশিয়া এখন পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর যেটুকু আস্থা বা বিশ্বাস অবশিষ্ট ছিল, সেটিও হারিয়ে ফেলছে।

‘আমরা আসলে আমাদের পশ্চিমা বন্ধুদের ওপর অবশিষ্ট বিশ্বাসও হারিয়ে ফেলেছি, বলছেন মিস্টার ল্যাভরভ। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো খুবই অদ্ভুত কিছু যুক্তির ভিত্তিতে চলছে, তারা আগে শাস্তি দিয়ে দিচ্ছে, তারপর প্রমাণ খোঁজার জন্য তদন্ত করছে।’
তিনি বলেন, রুশ অর্থনীতি হয়তো নাজুক অবস্থার মধ্যে আছে; কিন্তু নতুন কোনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও তা মোকাবেলা করার সমতা তাদের আছে।