এশিয়া
ইউরোপে 'দাসপ্রথা' চালাচ্ছে উ. কোরিয়া
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নজিরবিহীন একটি বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একে সামনে রেখেই বিবিসির একটি অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ইউরোপের দেশে দেশে উত্তর কোরিয়ার আধুনিক এক 'দাস প্রথার' তথ্য। যার শিকার উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরাই। এদের বিদেশে শ্রমিক হিসেবে পাঠানো হলেও এদের উপার্জিত অর্থ ব্যয় হয় অন্যের স্বার্থে।
ধারণা করা হয়, প্রতি বছর উত্তর কোরিয়া থেকে দেড় লাখের মতো মানুষকে দেশটির সরকার বিদেশে পাঠায় শ্রমিক হিসেবে যাদের প্রধান কাজ আসলে সরকারের জন্য অর্থ প্রেরণ করা। এবং মনে করা হয় যে এ অর্থের পরিমাণ বছরে প্রায় এক বিলিয়ন পাউন্ড। যুক্তরাজ্যে দেশটির সাবেক উপ রাষ্ট্রদূত থায় ইয়ং হো জানাচ্ছিলেন এ অর্থ আসলে পারমাণবিক কর্মসূচিতে ব্যয় করে উত্তর কোরিয়া সরকার।
"এ টাকাটা যদি শান্তিপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় হতো দেশের অর্থনীতি এখন আরো অনেক ভালো অবস্থানে থাকতো। তাহলে এ অর্থ কোথায় যায়? ওয়েল, এগুলো যায় কিম পরিবারের বিলাসী জীবন যাপন, পারমাণবিক কর্মসূচি আর সামরিক বাহিনীর জন্য। এটাই প্রকৃত সত্যি।"
বিবিসির একটি অনুসন্ধানী দল এ নিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে কাজ করেছে চীন রাশিয়া ও পোল্যান্ডে। রাশিয়ায় দলটি কথা বলে অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করা একদল উত্তর কোরিয়ান শ্রমিকের সাথে। একজন জানান, তাদের আয়ের সব চলে যায় দলনেতার কাছে এবং তিনিও একজন উত্তর কোরিয়ান। এসব শ্রমিকদের মধ্যে একজন কথা বলতেও রাজি হন।
"এখানে আমাদের সাথে কুকুরের মতো আচরণ করা হয় এবং আপনাকে খেতে হবে ময়লা খাবার। সব টাকাই দিয়ে দিতে হয় আর একে বলে পার্টি ডিউটি। আর কেউ বলে রিভলিওশনারি ডিউটি বা বৈপ্লবিক দায়িত্ব। যারা দিতে পারবে না তারা এখানে থাকতে পারবে না। দশ বছর আগেও এটা ছিল ২৬০ পাউন্ড আর এখন এটা প্রায় দ্বিগুণ।"