ফিরে আসছে হারিয়ে যাওয়া অ্যাপ! কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে ফেসবুক

ফিরে আসছে হারিয়ে যাওয়া অ্যাপ! কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে ফেসবুক
প্রযুক্তি তো আর থেমে থাকে না। তাই গুগলের তরফ থেকে জানানো হয় যে, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে এই সোশ্যাল অ্যাপ। 

এক সময়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মানেই ছিল ‘অরকুট’। বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ— কত সম্পর্কের সাক্ষী ছিল গুগল-এর এই অ্যাপ। 

কিন্তু, প্রযুক্তি তো আর থেমে থাকে না। তাই ফেসবুক, টুইটার আসার পরে আস্তে আস্তে পিছনের সারিতে চলে যায় অরকুট। শেষে একদিন গুগলের তরফ থেকে জানানো হয় যে, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে এই সোশ্যাল অ্যাপ। 

সম্প্রতি, মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুক জড়িয়ে পড়েছে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁসের অভিযোগে। আর সেই সুযোগেই যেন আবারও আবির্ভূত হতে চলেছে অরকুট। এমনই খবর পাওয়া গেল সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। 

সোশ্যাল অ্যাপটির স্রষ্টা, অরকুট বাইয়ুকোটেন-এর নামানুসারেই নাম হয় অরকুটের। ২০০৪ সালের শুরুতেই লঞ্চ হয়েছিল অরকুট। সেই সময়ে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ‘নিং’ নামে একটি অ্যাপ। পাশাপাশি ছিল ফেসবুক ও মাইস্পেস।

জানা গিয়েছে, অরকুট এবার নতুন করে লঞ্চ হয়েছে ‘হ্যালো’ নাম নিয়ে। আগে, অরকুটের হেডকোয়াটার ছিল ব্রাজিলে। কিন্তু, এবার অরকুট বাইয়ুকোটেন তাঁর হেডকোয়াটার্স নিয়ে গিয়েছেন স্যান ফ্রানসিস্কোয়। 

ভারতেও এবার এই ‘হ্যালো’ অ্যাপ পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। এবং একজন ব্যবহারকারী নিজের পছন্দের যে কোনও ক্যাটাগরিতে যোগ দিতে পারেন। হ্যালো-তে ১০০০-এরও বেশি কমিউনিটি রয়েছে। সঙ্গে একশোরও বেশি ‘পারসোনা ক্যাটাগরি’। যেমন, ব্যবহারকারী পর্যটক, না ফোটোগ্রাফার, ক্লাবার, নাকি অন্য কিছু।

প্রসঙ্গত, ইউনেস্কো থেকে গুগল-কে বলা হয়েছিল অরকুট একেবারে বন্ধ না করে, এই সংস্থাকে দিয়ে দিতে। বিশ্বের প্রথম ‘সোশ্যাল নেটওয়ারকিং সাইট’ হিসেবে তাকে ‘হেরিটেজ’ তকমা দেওয়ার জন্যই এমন দাবি করে ইউনেস্কো।