প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াচ্ছে ইরান, পাকিস্তানে রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট

প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াচ্ছে ইরান, পাকিস্তানে রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদার আমাদের অকাট্য ও ন্যায্য অধিকার। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হবে না। 

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সিরিয়া সঙ্কট সমাধানে ইরানের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইরান যেকোনো দেশের ওপর সামরিক আগ্রাসনের বিরোধী। ইরান মনে করে ইয়েয়েনসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের দুঃখ দুর করতে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা জরুরি। একই সঙ্গে এক দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৗমত্বের প্রতি অপর দেশের সম্মান জানানো উচিত।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অভিন্ন সমস্যার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়েছে। চরমপন্থা ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমেরিকা ও ইসরাইলের ভূমিকার নিন্দা জানান তিনি।

অন্যদিকে পাকিস্তানের জন্য শীঘ্রই দুটি রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট লঞ্চ করতে চলেছে চীন। জুন মাসেই সেই স্যাটেলাইট লঞ্চ করা হবে। গত মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে চীনের অ্যাকাডেমি অফ লঞ্চ ভেইকল টেকনোলজি। এই প্রথম আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইট নিয়ে উড়বে চীনের Long March-2C রকেট। এর আগে মোটোরোলার ইরিডিয়াম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল এই রকেট। ১৯৯৯ তে রকেটটি লঞ্চ করা হয়েছিল।

এই রকেটেই মহাকাশে যাবে চীন-ফ্রান্স ওসানোগ্রাফি স্যাটেলাইট। সেটা অবশ্য এবছরের সেপ্টেম্বরে। যা দিয়ে সমুদ্রের হাওয়া ও ঢেউয়ের উপর নজর রাখা যাবে।

কিছুদিন আগেই চীনের যুদ্ধবিমান থেকে আ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান। পাকিস্তান নেভি ও এয়ারফোর্স যৌথভাবে ওই মিসাইল পরীক্ষা করে।

জানা গেছে, C-802 AK নামে ওই ক্রুজ মিসাইল এয়ারক্রাফট ও জাহাজ দুটি থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। পাকিস্তানের JF-17 থান্ডার এয়ারক্রাফট থেকে প্রথমে ছোঁড়া হয় ওই মিসাইল। এরপর সেই মিসাইল ছোঁড়া হয় পাকিস্তানের এভি শিপ SAIF থেকে। দুটি উৎক্ষেপণই সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহযোগিতার বিষয়টি প্রমাণ করতে চেয়েছেন পাকিস্তান।