আসারামের ব্যারাকে সলমন, জেলে গিয়ে প্রথম রাতে কী খেলেন ভাইজান
প্রায় ২০ বছর আগের কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার জোধপুরের এক আদালত সলমন খানকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। সাজা ঘোষণার পরেই সলমনের আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন জানান জেলা দায়রা আদালতে।
আম-বন্দির মতোই রাজস্থানের জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে রাত কাটালেন বলিউডের ‘সল্লুভাই’। অধুনা তাঁর পরিচয় কয়েদি নম্বর ১০৬। তাঁর জন্য রাতের খাবার বরাদ্দ ছিল বাকি বন্দিদের মতোই। রুটি, অড়হর ডাল এবং সঙ্গে একটি নিরামিষ সব্জি।
প্রায় ২০ বছর আগের কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার জোধপুরের এক আদালত সলমন খানকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। সাজা ঘোষণার পরেই সলমনের আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন জানান জেলা দায়রা আদালতে। তার শুনানি আজ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায়। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়, এদিন রাতটা সলমনকে থাকতে হবে জোধপুর সেন্ট্রাল জেলেই।
রাজস্থানের কারা দফতরের ডিজি ভূপিন্দর সিংহ এদিন টেলিফোনে ‘এবেলা’কে বলেন, ‘‘সলমন খান বড় অভিনেতা। কিন্তু আমরা আইন অনুযায়ী চলি। আদালতের কোনও নির্দেশ নেই। তাই, সলমনের জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থাও নেই। অন্য বন্দিদের মতোই খাবার এবং অন্য পরিষেবা পাবেন তিনিও।’’ ডিজি এদিন জানিয়েছেন, অন্য বন্দিদের মতো সেলের মাটিতেই কম্বল পেতে রাতে শুতে হবে সলমনকে।
কারা দফতরের এক অফিসার বলেন, ‘‘ওই সেলে বিশেষ ব্যবস্থা নেই। থাকার কথাও নয়। সলমনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখাও হয়নি। ওই সেলে পৃথক বাথরুম এবং পাখা আছে। কোনও কুলার বা এসি নেই।’’
আদালত চত্বর থেকে এদিন বেলা ৩টে নাগাদ সলমনকে কড়া নিরাপত্তায় নিয়ে যাওয়া হয় জেলে। সেখানে ‘সল্লুভাই’-কে কিছুক্ষণ বসানো হয় জেল সুপারের ঘরে। তারপর তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জোধপুর জেলের দু’নম্বর ব্যারাকে। ওই জেলে যা ‘দেড় ব্যারাক’ হিসাবেও পরিচিত। ওই ব্যারাকে বর্তমানে বন্দি ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসারাম বাপু। রয়েছে, লাভ জিহাদ মামলায় পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুল হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শম্ভুনাথ রগৌরও।
রাজস্থানের কারা দফতর সূত্রের খবর, সলমনের মতো ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিকে জেলে রাখতে হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করা প্রয়োজন। সে কথা মাথায় রেখেই জোধপুর জেলের সবচেয়ে সুরক্ষিত ব্যারাকে বলিউডের অভিনেতাকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।