গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে ইরানের রকেট
দামেস্কে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার ছবি এ সপ্তাহের শুরুর দিকে সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। ছবি: এএফপি।
সিরিয়ার অংশে গোলান মালভূমিতে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে ইরানি সেনারা রকেট ছুড়েছে। এই দাবি করে ইসরায়েলি সেনারা বলছে, এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ইসরায়েলি সেনারা বলছে যে তাদের লক্ষ্য করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড সকালে ২০টি রকেট ছোড়ে। এর কয়েকটি ধ্বংস করা হয়। এতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েল দাবি করে, ওই অঞ্চলে ইরানি সেনাদের নিয়মবিরুদ্ধ কিছু তৎপরতা তারা পর্যবেক্ষণ করেছিল। এ কারণে সেনাদের সতর্ক করে বেসামরিক লোকদের আশ্রয় খুঁজে নিতে বলা হয়।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ঘটনাটিকে তারা কঠোরভাবে দেখছে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল।
জোনাথন কনরিকাস নামে সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাদের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়েছে। অবশ্য তিনি এর বিস্তারিত জানাননি।
সিরিয়ার সংবাদ সংস্থা সানা বলছে, সিরিয়ার ওপর ইসরায়েলে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরোধী প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
গত মঙ্গলবার দামেস্কে সেনাঘাঁটিতে ইসরায়েলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সিরিয়ার সাম্প্রতিক এ উত্তেজনা ছড়ায়। সানার প্রতিবেদনে বলা হয়, কিসোয়া এলাকায় ইসরায়েলের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়। এ সময় বিস্ফোরণে দুজন বেসামরিক লোক মারা যান।
অবশ্য, সিরিয়ার কার্যক্রম চালানো যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার নজরদারি সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের অস্ত্রঘাঁটিতে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ১৫ জন মারা যান।
এর মধ্যে সাতজন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য। অন্যরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক। ওই প্রতিবেদন বিষয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি। এর বদলে সিরিয়ায় ইরানের ঘাঁটি গড়া বন্ধ করতে বলেছে।
সিরিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত ইরান দেশটিতে শত শত সেনা মোতায়েন করেছে। ইরানের হিজবুল্লাহ ছাড়াও ইরাক, আফগানিস্তান ও ইয়েমেনের হাজারো সেনাকে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইরান। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি দেশটিতে লড়ছে ইরানি সেনারাও।