সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে আজ।

সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে আজ। এটি হচ্ছে বর্তমান সরকারের এই মেয়াদের শেষ বাজেট।

জার ২৯৩ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বাজেটে চার হাজার ৫১ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার আশা থাকছে। ওই অনুদান পাওয়া গেলে ঘাটতি দাঁড়াবে এক লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

ব্যয়ের চাহিদা মেটাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনা থাকছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর থেকে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা এবং কর ছাড়া প্রাপ্তি যেমন টোল, বিভিন্ন সরকারি ফিসহ অন্যান্য উত্স থেকে আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।

রাজস্ব আদায় বাড়াতে চলতি অর্থবছর থেকে সর্বজনীন ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে ব্যবসায়ীদের বিরেধিতায় সরকার পিছু হটে। প্রধানমন্ত্রী ওই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দুই বছর পিছিয়ে দেন। সে হিসাবে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন চালু হবে। অবশ্য এবছরই ভ্যাটের হারে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ভ্যাটের স্তর ৯টি থেকে পাঁচটিতে নামিয়ে আনা হচ্ছে বাজেট প্রস্তাবে।

নির্বাচনের আগে বড় উন্নয়ন প্রকল্প দৃশ্যমান করতে এবারের বাজেটে জোর প্রচেষ্টা থাকবে। এজন্য পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ ১০ মেগা প্রকল্পেই বরাদ্দ থাকছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ১০ মে সরকারের অনুমোদন পাওয়া ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) খাত ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন খাতে। অবশ্য বরাদ্দে শীর্ষে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বাজেটকে আরও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd -এ বাজেটের সকল তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে।

বাজেট উপস্থাপনের পরের দিন অর্থাৎ ৮ জুন বিকাল আড়াইটায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।