ভারত-চীন, পিছু হটবে দুই দেশই

দীর্ঘ ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক শেষে ভারত ও চীনের সেনারা বিতর্কিত গালওয়ান থেকে পিছু হটতে রাজি হলো। সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দুই দেশই সেনা সরাতে একমত হয়েছে। লাদাখের চুসুলের মলডো এলাকায় চীনা শিবিরে কোর কম্যান্ডার পর্যায়ের ওই বৈঠকে 'খোলা মনে ইতিবাচক ও গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি। সূত্রের কথায়, সংঘর্ষ ও বিবাদপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা সরাতে চীন সম্মত হয়েছে।

ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দুই দেশই পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিক করেছে।



সম্প্রতি লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ফাইল ছবি রয়টার্সসম্প্রতি লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ফাইল ছবি রয়টার্সদীর্ঘ ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক শেষে ভারত ও চীনের সেনারা বিতর্কিত গালওয়ান থেকে পিছু হটতে রাজি হলো। সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দুই দেশই সেনা সরাতে একমত হয়েছে। লাদাখের চুসুলের মলডো এলাকায় চীনা শিবিরে কোর কম্যান্ডার পর্যায়ের ওই বৈঠকে 'খোলা মনে ইতিবাচক ও গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি। সূত্রের কথায়, সংঘর্ষ ও বিবাদপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা সরাতে চীন সম্মত হয়েছে।

ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দুই দেশই পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিক করেছে।

জুন মাসের ৬ তারিখেও দুই দেশ এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ১৫ জুন দিবাগত রাতে দুই দেশের মধ্যে হাতাহাতি লড়াইয়ে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৭৬ জন। ১০ জন চীনাদের হাতে আটক হন। তিন দিন পর তাঁরা মুক্তি পান। চীনের পক্ষ থেকে দেশটির সেনা হতাহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।




সম্প্রতি লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ফাইল ছবি রয়টার্সসম্প্রতি লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ফাইল ছবি রয়টার্সদীর্ঘ ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক শেষে ভারত ও চীনের সেনারা বিতর্কিত গালওয়ান থেকে পিছু হটতে রাজি হলো। সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দুই দেশই সেনা সরাতে একমত হয়েছে। লাদাখের চুসুলের মলডো এলাকায় চীনা শিবিরে কোর কম্যান্ডার পর্যায়ের ওই বৈঠকে 'খোলা মনে ইতিবাচক ও গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি। সূত্রের কথায়, সংঘর্ষ ও বিবাদপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা সরাতে চীন সম্মত হয়েছে।

ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দুই দেশই পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিক করেছে।

জুন মাসের ৬ তারিখেও দুই দেশ এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ১৫ জুন দিবাগত রাতে দুই দেশের মধ্যে হাতাহাতি লড়াইয়ে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৭৬ জন। ১০ জন চীনাদের হাতে আটক হন। তিন দিন পর তাঁরা মুক্তি পান। চীনের পক্ষ থেকে দেশটির সেনা হতাহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

সোমবারের বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেন ১৪ কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। চীনের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল লিন লিউ। বৈঠকের পর সেনা সূত্র জানান, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাঙ্কার সহ স্থায়ী কাঠামো তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে চীন নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে। প্যাংগং লেকের ধার ঘেঁষে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত বেশ কিছু স্থায়ী ও অস্থায়ী কাঠামো চীন তৈরি করেছে। এ নিয়ে ভারতের আপত্তি থেকে বিবাদ ও সংঘর্ষ।

গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে ভারতের রাজনীতি এই মুহূর্তে গমগম করছে। এই সঙ্কটে সরকার ও সেনা বাহিনীর পাশে সব বিরোধী দল দৃঢ়ভাবে দাঁড়ালেও সরকারের সমালোচনা অব্যাহত। বিশেষ করে আক্রমণাত্মক কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নিয়মিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করে যাচ্ছেন। প্রশ্ন তুলছেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও। মঙ্গলবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সোনিয়া বলেন, 'এনডিএ সরকারের অদক্ষতা সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে আর্থিক মন্দা চলছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় করোনা। সর্বশেষ সংযোজন গলওয়ান সংঘর্ষ। সরকারের অদক্ষতা আর্থিক ও ভৌগোলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত তো করেইছে, পাশাপাশি সৃষ্টি করেছে সার্বভৌমত্ব নিয়ে একটা ভয়ের পরিবেশ।' সোনিয়া বলেন, 'ভবিষ্যৎ এখনও অস্পষ্ট। বিরোধীরা অনবরত সরকারকে প্রশ্ন করে চলেছে অথচ সরকার নিরুত্তর।'

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্দেশে কঠোর মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর অনেক ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত। সেই বিবৃতির জবাবে বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেছিলেন, মনমোহন সিংয়ের আমলে ২০১০ থেকে ২০১৩ চীন ৬০০ বার সীমান্ত লঙ্ঘন করেছিল। তিনি বরং সেই ব্যাখ্যা দিন। সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম মঙ্গলবার একাধিক টুইটে বিজেপি সভাপতিকে আক্রমণ করে বলেন, 'হ্যাঁ, চীন সীমান্ত লঙ্ঘন করেছিল। তবে এক ইঞ্চি জমি চীন দখল করতে পারেনি। কোনো ভারতীয় জওয়ান মারাও যাননি। কিন্তু ২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত চীন যে ২ হাজার ২৬৪ বার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে তার ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইবার সাহস কি তাঁর আছে?' চিদাম্বরম লেখেন, 'বাজি ধরে বলতে পারি সেই সাহস বিজেপি সভাপতির নেই।'

সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্তব্য চীন হাতিয়ার করেছে। ভারতীয় সীমান্তে না ঢোকা ও কোনো ঘাঁটি দখল না হওয়া নিয়ে মোদি যা বলেছেন চীন তা প্রচার করছে।