জাস্টিন ট্রুডো কেন এত জনপ্রিয়?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সহজ, সরল, নিরহঙ্কারী, সাদামাটা মানুষ। তিনি খুব সহজেই মিশে যান মানুষের সাথে। গাড়ি থামিয়ে পার্কে বসে থাকা বুড়ির সাথে আড্ডা দেন। গ্রীষ্মের ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা যখন ছাত্রাবাসে উঠছে, তখন গাড়ি থেকে নেমে তাদের মালামাল উঠিয়ে দেন।
নিজ হাতে রুটি বানাচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
খোলা মাঠের বেঞ্চে দাঁড়িয়েই বক্তৃতা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেই অংশ নেন। কারো বাসায় ফোন করে বলেন, আগামীকাল সন্ধ্যায় আপনাদের বাড়িতে ডিনার খেতে আসবো। তার স্ত্রী সুফিয়ার দেয়া ফেসবুকের এক পোস্ট থেকে জানা যায়, ট্রুডো একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও সপরিবারে ছুটির দিনে হকি খেলা দেখতে গিয়ে অনায়াসে সাধারণ দর্শকদের পেছনের সারিতে বসেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু, চলমান সিরিয়া ইস্যু ইত্যাদি নানা ইস্যুতে তিনি হয়েছেন নির্ভীক, মানুষের পাশে বাড়িয়েছেন সহমর্মিতার হাত। রাজনীতিতে প্রবেশ করবার আগে জাস্টিন ছিলেন একজন শিক্ষক। ফ্রেঞ্চ, ড্রামা এবং গণিতের ক্লাস নিতেন তিনি। পার্টিতে জাস্টিন প্রায়ই একটি মজার কাজ করেন। তা হচ্ছে, সিঁড়ি হতে নিজেকে ফেলে দেয়া। নির্বাচনে জয়ী হবার দিন জাস্টিন তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানাতে মনট্রিলের মেট্রো স্টেশনে সকালটা কাটিয়েছিলেন।
কানাডাতে আশ্রয় নেয়া সিরীয় এক শরণার্থী দম্পতির নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে। সিরীয় ঐ দম্পতির তাদের নবজাতকের নাম 'জাস্টিন ট্রুডো আদম বিলান'। ট্রুডো ভারতীয় পোশাক পরে মন্দিরে ঢুকে ধর্মীয় আচারও পালন করেন, ট্রুডো পরিবার হাজির হন মন্দিরের ভক্তসেবার রান্না ঘরে, পুরো পরিবার মিলে ভক্তদের জন্য বানান রুটি।
ব্যক্তিগত ফ্যাশনের দিক থেকেও বিশ্বের অন্য নেতাদের চেয়ে আলাদা তিনি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষনীয় নেতার খেতাব পেয়েছেন ট্রুডো। কানাডার ইতিহাসে প্রথমবারের মত মন্ত্রিসভায় পুরুষ সদস্যের সমান সংখ্যক নারী সদস্য রেখে আলোচনায় আসেন ট্রুডো।
ট্রুডো বলেন, আমরা কানাডার বৈচিত্রে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের অতীতকে জানি। কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে পৃথিবীর প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার মানুষের জন্য সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়।