বোল্টের ফুটবল মিশন
সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার হিসেবে তাঁর নাম সবাই বলবে একবাক্যে। সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবেও ভোটাভুটিতে জয়ের সম্ভাবনা প্রবল উসাইন বোল্টের। কিন্তু ফুটবলে? এখানে যে গড়পড়তার চেয়ে বেশি কিছু নন। স্প্রিন্ট ক্যারিয়ার শেষে ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার গঠনের ইচ্ছার কথা যতই জানান বোল্ট, কাজটি তো সহজ হবে না মোটেই।
তবে এই জ্যামাইকানের ইচ্ছাটাকে কিন্তু হালকাভাবে নেওয়ার উপায় নেই। পুরোদস্তুর অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন যে তিনি! সেটিও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মতো জার্মানির বড় ক্লাবের সঙ্গে। ক্লাবের হলুদ জার্সিতে অনুশীলনে কাল গোলও তো করেছেন বোল্ট!
বোল্ট ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড—দুই পক্ষের স্পন্সরই ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পুমা। এই সূত্রেই জার্মান ক্লাবে ফুটবল অনুশীলনের সুযোগ মেলে এই জ্যামাইকানের। ক্লাবের স্ট্রবেলালি ট্রেনিং গ্রাউন্ডে কাল বোল্ট নামতেই চিৎকারে তাঁকে স্বাগত জানান শত শত দর্শক। ওয়ার্মআপ করেন তিনি মারিও গোেজ, মার্কো রয়েসদের সঙ্গে। সেখানে দৌড়ের অংশও ছিল, তবে তাতে শতভাগ দিয়ে দৌড়াননি। তাহলে অন্যরা কোন পেছনে পড়ে থাকতেন!
আবার দুই দলে ভাগ করে যখন প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে, সেখানে বোল্ট অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে স্পষ্টত। সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে মাঠের এক প্রান্তে নিঃসঙ্গ সময়ই কাটছিল। তবে গোেজর দুর্দান্ত ক্রসে ম্যাচে প্রথম সুযোগ পেয়েই সেটিকে হেড করে গোলে পরিণত করেন বোল্ট। ৩১ বছরের এই স্প্রিন্ট কিংবদন্তি অবশ্য নিজেও জানেন, এমন এক-দুটি ঝলকে ইউরোপের বড় দলে খেলার টিকিট মিলবে না। তাই জানালেন, ‘আমি সত্যিই চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার। বিশ্বের সেরা যেকোনো ক্লাবে খেলতে চাই আমি। জানি, পুরো ফিট নই আমি। ফিটনেসে দশের মধ্যে সাত দেব নিজেকে। উইংয়ে খেলাটা পছন্দ আমার, তবে যেহেতু পুরো ফিট নই তাই থাকতে চাই স্ট্রাইকার হিসেবে।’ এপি