কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া বিশ্বকাপ বয়কট আইসল্যান্ডের

কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া বিশ্বকাপ বয়কট আইসল্যান্ডের
রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়ানো যুক্তরাজ্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছে আঞ্চলিক মিত্র আইসল্যান্ড। লন্ডনের পক্ষ নিয়ে দেশে দেশে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার চলতে থাকার মধ্যে রেইকিয়াভিক জানিয়েছে, তারা ক’মাস পরেই রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ কূটনৈতিকভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও নিজেদের ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা লাভ করেছে আইসল্যান্ড।

রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গুটিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে আইসল্যান্ড বলেছে, আপাতত মস্কোর সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কূটনেতিকভাবে আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপ বয়কট করছে আইসল্যান্ড। দেশের কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই বিশ্বকাপে অংশ নেবে না। সোমবার (২৬ মার্চ) রেইকিয়াভিকে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এসব পদক্ষেপের কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

আইসল্যান্ড সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, (যুক্তরাজ্যের) সলসবারিতে (পক্ষত্যাগী রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার স্ক্রিপালের ওপর) হামলার প্রেক্ষিতে আইসল্যান্ডের সব ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অংশীদার রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে নর্ডিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোসহ রয়েছে ইইউ এবং ন্যাটোর অনেক সদস্য দেশ।

একবিংশ ফিফা বিশ্বকাপ আগামী ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ায়। এই মেগা আসরের স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ রাশিয়া লাভ করে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র আইসল্যান্ড উয়েফা অঞ্চলের ‘আই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বকাপে উঠে এসেছে। এবারই প্রথম ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা।

গত ৪ মার্চ সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে যুক্তরাজ্যের সলসবারির একটি পার্ক থেকে গুরুতর আহতাবস্থা উদ্ধার করা হয়। যুক্তরাজ্যের সন্দেহ, পক্ষত্যাগী স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষক্রিয়ায় হত্যার অপচেষ্টার পেছনে রাশিয়া জড়িত। তারই জেরে প্রথমে ১৪ মার্চ ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। জবাবে ১৭ মার্চ সমানসংখ্যক ব্রিটিশ কূটনীতিক বহিষ্কার করে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।