‘সাকিবের বিকল্প রাতারাতি পাওয়া সম্ভব নয়’


‘সাকিবের বিকল্প রাতারাতি পাওয়া সম্ভব নয়’

• শেষ পর্যন্ত চোট সাকিবকে খেলতে দিচ্ছে না নিদাহাস ট্রফিও।
• কোর্টনি ওয়ালশকে পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে ভিন্নভাবে।
• ওয়ালশ মনে করেন, সেরে উঠতে যতটা সময় দরকার, সাকিব সেটা নেবে।
সাকিব আল হাসান একটু ঘুরে গেলেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। তাঁর আঙুলের চোটের কী অবস্থা, আজ হয়তো সেটিই জানাতে এসেছিলেন। গত মাসে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাওয়া চোটের রেশ যে এতটা দীর্ঘ হবে, সাকিব নিজেও কি কল্পনা করতে পেরেছিলেন?

Add caption
গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করার পরই শোনা যাচ্ছিল, নিদাহাস ট্রফিতেও হয়তো সাকিবকে পাওয়া যাবে না। সেটিই হলো। সাকিব নেই এ সিরিজেও। দলের অধিনায়কই শুধু নন, দলের সবচেয়ে বড় ভরসা তিনি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দলের গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যকে হারিয়ে এখন প্রধান কোচ কোর্টনি ওয়ালশের পরিকল্পনা হবে কী?
একজন সাকিবের বিকল্প যে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই, ওয়ালশ সে কথাটাই মনে করিয়ে দিলেন আরেকবার, ‘দলের সবাইকে জেগে উঠতে হবে। সাকিব এখনো চিকিৎসাধীন। জানি না কবে সে ফিরবে। তাকে ছাড়াই আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। সেই পরিকল্পনা কী হবে সেটা এখানে বলতে চাচ্ছি না। সে না থাকায় কাজগুলো একটু অন্যভাবে করতে হবে। ও দুর্দান্ত খেলোয়াড়, রাতারাতি যার বিকল্প পাওয়া সম্ভব নয়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, অধিনায়কত্ব—সবই পারে।’
সাকিব না থাকা মানে অবশ্যই বিরাট শূন্যতা। তবে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ওয়ালশ মনে করেন, সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাঁহাতি অলরাউন্ডারের সেরে ওঠাটা, ‘সে এমন খেলোয়াড় তাকে খেলার জন্য ফিট হতে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। আমরা তাকে সেই সময়টা দেব। সেরে উঠতে যতটা সময় লাগে সে নেবে। সবাইকে সেটা বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আপনার কাছে যখন সাকিবের মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড় থাকবে, তাকে আপনাকে সব সুযোগ দিতে হবে সেরে উঠতে।’