বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই: জয়াবর্ধনে

বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই: জয়াবর্ধনে
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে রোববার সন্ধ্যায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এই ম্যাচ নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় বিশ্লেষণমূলক একটি কলাম লিখেছেন শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে, যেখানে তিনি ফাইনালে ভারতকে এগিয়ে রাখলেও; বাংলাদেশকেও রাখছেন ভালো অবস্থানেই।

জয়াবর্ধনের মতে, নিদাহাস ট্রফির শুরু থেকে বাংলাদেশ দল যে দারুণ খেলছে এতে সন্দেহ নেই। ফাইনালে বাংলাদেশ চাপমুক্ত হয়েই খেলবে বলেই মনেই করছেন তিনি।

সাবেক লংকান অধিনায়কের মতে, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই, বরং পাওয়ার অনেক কিছুই আছে। রাউন্ড রবিন লিগের দুটি ম্যাচে ভারতের কাছে হারায় বাংলাদেশ আন্ডারডগ হিসেবে ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করতে এবং প্রত্যাশার কোনো চাপ ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পারে।

জয়াবর্ধনে আরও লিখেছেন, 'ভারত হয়তো তাদের শীর্ষস্থানীয় সিনিয়র কয়েকজন খেলোয়াড়কে মিস করবে, তবে তারা এরই মধ্যে দেখিয়েছে যে, তাদের দলে প্রতিভার ঘাটতি নেই এবং তিন বিভাগেই ভালো করছে তারা।'

তার মতে, 'পেস বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, তবে ব্যাটিং সামর্থ্যের দিক থেকে দু'দলের অবস্থান প্রায় সমানে সমান। প্রতিপক্ষ দলের ক্ষতিসাধনের মতো অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের রয়েছে। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সচরাচর যেমনটা হয়, ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে যে দলটি সবচেয়ে ভালোভাবে চাপ সামাল দিতে পারবে দিন শেষে ম্যাচের ফল সম্ভবত তাদের পক্ষেই যাবে।'

জয়াবর্ধনের লেখায় উঠে এসেছে শুক্রবারের শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কথাও। আইসিসি এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না বলে মনে করেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে জয়াবর্ধনে লিখেছেন, 'শেষ ওভারের ওই পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামলানো যেত। নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটা পরিষ্কারভাবেই একটি নো- বল ছিল এবং এক্ষেত্রে আম্পায়ারা ভুল করেছেন। এরপর তারা কথাবার্তার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না নেওয়ায় বিষয়টি আরও খারাপের দিকে যায়। তবে তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যেভাবে খেলার মাঠ ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং  খেলোয়াড়রা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা তরুণদের জন্য শিক্ষণীয় কিছু নয়। এটা ঠিক যে ম্যাচের ওই সময়ে খেলোয়াড়রা খুবই আবেগপ্রবণ ছিলেন, কিন্তু খেলাটির প্রতি খেলোয়াড়দের অারও বড় দায়িত্ববোধ রয়েছে।'