বাণিজ্যযুদ্ধের নতুন তির ছুড়লেন ট্রাম্প
চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর ৬০ বিলিয়ন ডলার কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন তিনি। ছবি: রয়টার্স
চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর ৬০ বিলিয়ন ডলার কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন তিনি। ছবি: রয়টার্স
নারীঘটিত একের পর এক কেলেঙ্কারি ফাঁস হচ্ছে, অথচ উদ্বিগ্ন নন ট্রাম্প। চীনকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায়, এই যেন তাঁর মূল চিন্তা। নিজের সৃষ্ট বাণিজ্যযুদ্ধের আগুনে আবার ঘি ঢাললেন তিনি।
এবার চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৬০ বিলিয়ন ডলার কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন তিনি। এবার চীনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে মেধাস্বত্ব চুরি করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধ্বংস করছে চীন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করবে বলে আশা করেন ট্রাম্প।
আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শূকরের মাংস ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ ও স্টিল পাইপ, ফল ও ওয়াইন আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে চীন।
এক বিবৃতিতে সাফ জানানো হয়েছে, চীন বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না। তবে এতে ভয়ও পায় না।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ইস্পাতের ওপর ২৫ ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। লক্ষ্য দেশীয় শিল্পকে রক্ষা। ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান ইস্পাত রপ্তানিকারক দেশ কানাডা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাও (ডব্লিউটি) ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। এমনকি নিজ দল রিপাবলিকান সদস্যদেরও সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। পরে শক্ত অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে কানাডা ও মেক্সিকোকে বাদ দিয়ে ওই বাণিজ্যনীতি পাস করেন ট্রাম্প। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং জানায়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপে যাবে তারা।