সীমান্তে পরমাণু বোমার দূর্গ পাকিস্তানের!

সীমান্তে পরমাণু বোমার দূর্গ পাকিস্তানের!
ভারতের সীমান্ত এলাকার মাত্র ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে পরমাণু বোমার দুর্গ গড়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেই সেনা দুর্গের ছবি স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে।
ভারত সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের গুরজানওয়ালায় পরমাণু অস্ত্রের দুর্গ গড়া হয়েছে, ভারতকে আক্রমণ করার জন্য তৈরিকৃত ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে সেখানে। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালে মধ্যে গুরজানওয়ালায় পরমাণু বোমার স্থাপনা তৈরি করা হয়। এখানে দুটি গ্যারেজ রয়েছে। পূর্ব দিকে রয়েছে অটোমেটেড ব্লাস্ট ডোর। আর পশ্চিমে পাঁচ মিটার চওড়া একটা এন্ট্রান্স। ইগলুর মতো ঘরে রয়েছে অস্ত্রাগার।

২০১০ থেকে ২০১৫ সালের পানো আকিল এলাকায় আরেকটি স্থাপনা তৈরি করা হয়। এখানেও একই ধরনের ব্লাস্ট ডোর ও এন্ট্রান্স রয়েছে। তবে গুরজানওয়ালার তুলনায় একটু বড় মোট ন’টি গ্যারেজ আছে সেখানে। সবকটি একই সাইজের। অনেকটা খোলা জায়গা আছে সেখানে। এখানেও আছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোটা প্রাচীরের আড়ালে রয়েছে সেই দুর্গ।


চীনের কাছ থেকে ভয়ঙ্কর অস্ত্র কিনেছে পাকিস্তান

চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও মাল্টি ওয়ারহেড মিসাইল তৈরির জন্য উন্নত ট্র্যাকিং ব্যবস্থার প্রযুক্তি কিনেছে পাকিস্তান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের সায়েন্স একাডেমি। এক বিবৃতিতে দেশটির একাডেমি অব সায়েন্স জানায়, পাকিস্তানে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা প্রথম দেশ চীন।

পাকিস্তানের কাছে চীন এমন একটি শক্তিশালী ট্র্যাকিং সিস্টেম বিক্রি করেছে যা মাল্টি ওয়ারহেড মিসাইল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চায়না সায়েন্স একাডেমির ইনস্টিটিউট অব অপটিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকসের গবেষক জেং মেংওয়ে বলেন, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে খুবই উচ্চমতাসম্পন্ন ট্র্যাকিং ও মেজারমেন্ট সিস্টেম কিনেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও সম্প্রতি চীনা এই সিস্টেম নতুন মিসাইল তৈরিতে পরীক্ষা করেছে।

ভারতের আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক পেণাস্ত্র পরীক্ষার দ্ইু মাসের মধ্যেই এই ঘটনায় সামনে চলে এসেছে চিরবৈরী ভারত-পাকিস্তানের অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও শক্তি প্রদর্শনের বিষয়টিও। দুই মাস আগেই ভারত এমন এক আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল যা চীনে আঘাত আনতে সম। ভারত ও পাকিস্তান তাদের অস্ত্র সমতার লড়াইয়ে প্রায়ই পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে। ১৮ জানুয়ারি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ পরীক্ষা করে ভারত। পাঁচ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। একে চীনের বিপক্ষে নিজের শক্তিমত্তার প্রদর্শন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

ভারতের সিঙ্গেল-ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক বেশি পথ অতিক্রম করতে সক্ষম হলেও পাকিস্তান চেষ্টা করছে একাধিক লক্ষ্যে হামলার প্রযুক্তি ব্যবহারের। ‘মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল-এমআইআরভি’ নামের এই গাড়িগুলো একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোয় সক্ষম।