বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন আবিদ বেঁচে: ইউএস-বাংলা
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।
ইউএস-বাংলা বিধ্বস্ত: অর্ধশত নিহতের শঙ্কা
তবে উড়োজাহাজটির আরেক বৈমানিক পৃথুলা রশিদ মারা গেছেন বলে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া তথ্যে জানা গেছে।
৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রোববার দুপুরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ড্যাশ উড়োজাহাজটি।
হতাহত অনেককে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আটজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।
ওই আটজনের মধ্যে বৈমানিক পৃথুলা রশিদের নাম রয়েছে। তিনি উড়োজাহাজটিতে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে কাজ করতেন।
পৃথুলা রশিদ (ফেইসবুক থেকে নেওয়া ছবি) পৃথুলা রশিদ (ফেইসবুক থেকে নেওয়া ছবি)
পৃথুলার ফেইসবুক পাতা থেকে জানা যায়, তিনি ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা পৃথুলা উড্ডয়নের ডিগ্রি নিয়েছেন আরিরাং এভিয়েশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে।
ইউএস বাংলার ফার্স্ট অফিসার রিজওয়ান আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান., দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন আবিদ সুলতান। ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা ছাড়াও ক্রু হিসেবে ছিলেন নাবিলা ও খাজা হোসেন।
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃতের তালিকায় ক্রু খাজা হোসেনের নাম রয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং সাপোর্ট ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় আহতরা নেপালের কেএমসি, ওহম, নরভিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৈমানিক আবিদ সুলতান বেঁচে আছেন বলে বলে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আসিফ ইমরান সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, “আবিদ সুলতান জীবিত আছেন।”
এই খবর শোনার আগ পর্যন্ত আবিদের স্বজনরা উৎকণ্ঠায় ছিলেন।
তার পরিবারের ঘনিষ্ঠজন সাংবাদিক সুমাইয়া জামান বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমরা এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাচ্ছি না। কেউ বলছেন, তিনি বেঁচে আছেন, কেউ বলছেন তিনি নেই। আমরা ভীষণ উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি।”
উড়োজাহাজটি বাংলাদেশে উড়িয়ে আনার পর আবিদ সুলতান (বাঁয়ে); ছবিটি ফেইসবুক থেকে নেওয়া উড়োজাহাজটি বাংলাদেশে উড়িয়ে আনার পর আবিদ সুলতান (বাঁয়ে); ছবিটি ফেইসবুক থেকে নেওয়া
ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন।
তার একজন বন্ধু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিমান বাহিনীতে আবিদের মিগ-২৯ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের সময়কালে আবিদই ছিলেন সব থেকে ‘ব্রাইট অফিসার’।
নেপালের বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট বিমানটি ক্যাপ্টেন আবিদই কানাডা থেকে বাংলাদেশে উড়িয়ে এনেছিলেন।