৫৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগে তৃতীয় স্থান দৃঢ় করেছে রিয়াল।

গোল করার পর পরিচিত ভঙ্গিতে রোনালদো। ছবি: রয়টার্স
৫৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগে তৃতীয় স্থান দৃঢ় করেছে রিয়াল।
লিগে ১৮ গোল রোনালদোর।
পিএসজির বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ের পর একটু আয়েশি ভাব নিতে পারত রিয়াল মাদ্রিদ। হাজার হলেও এ মৌসুমে লা লিগা জেতার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোটায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, এমন কিছু তাই শোনা যাচ্ছিল। ভাগ্যিস, বিশ্রাম নেননি রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলেই তো এইবারকে ২-১ ব্যবধানে হারাল রিয়াল।
ম্যাচের ফল যেমন বলছে, ঠিক তেমনই জমজমাট এক ম্যাচ হয়েছে আজ। নিজেদের মাঠের সুবিধা নিয়ে প্রথম থেকেই রিয়ালের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল এইবার। সে চাপটা ছিল পুরো ম্যাচ জুড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে তো প্রায় প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ জিতেই যাবে এইবার। একটু পর পর আক্রমণে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছিল দলটি। কখনো রক্ষণভাগ, কখনো বা কেইলর নাভাসের সুবাদে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়নি রিয়াল। 
প্রথমার্ধে অবশ্য রিয়ালই এগিয়ে ছিল। অনেক দিন পর চোট কাটিয়ে ফেরা লুকা মডরিচ ছিলেন দুর্দান্ত। সে সুবাদে প্রথম ৩০ মিনিটেই অন্তত তিন বার এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। কিন্তু এইবার গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভ দুবার বাঁচিয়ে দিয়েছে দলকে। আরেকবার অবশ্য মডরিচ নিজেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। তবে ৩৪ মিনিটে রোনালদোকে থ্রু বল দিতে কোনো ভুল করেননি ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণে এনে দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫ম মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরান রামিস। কর্নার থেকে উড়া আসা বলটা ঠিকভাবে ডিফেন্ড করতে পারেননি কাসেমিরো। লাফিয়ে উঠে লিগে তৃতীয় গোলটা পেয়ে গেছেন রামিস (১-১)। এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে এগিয়ে যেতে। ৭০ থেকে ৮০ মিনিট-এ সময়টায় তো এইবার রীতিমতো দাপট দেখিয়েছে। কিন্তু ৮৪ মিনিটে খেলার সুর পাল্টে দিয়েছেন রোনালদোই।
ডান প্রান্ত থেকে কারভাহালের ক্রস, দুই ডিফেন্ডারের মাঝে ঠিকই জায়গা বের করে নিলেন রোনালদো। বুলেট গতির হেড ঠেকানোর কোনো সম্ভাবনা ছিল না গোলরক্ষকের। আরও একবার এগিয়ে গেল রিয়াল (২-১)। শেষ পর্যন্ত এ স্কোর ধরে রেখেই মাঠ ছেড়েছে জিদানের দল।