দিনটা বার্সেলোনার হতে পারত

দিনটা বার্সেলোনার হতে পারত

‘বার্সেলোনার বিপক্ষে ড্র করাটা লাস পালমাসের জন্য জয়ের চেয়েও বেশি।’ এমনটা বললে দোষের কিছু হবে না নিশ্চয়। পয়েন্ট টেবিলের চিত্রই দুই দলের পার্থক্যটা পরিষ্কার বলে দিচ্ছে। লা লিগার এই মৌসুমে বার্সেলোনা ২৬ খেলায় একটি ম্যাচও হারেনি। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সবার উপরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে লাস পালমাস ১৬ ম্যাচ হেরে রেলিগেশনে; আছে তালিকার ১৮ নম্বরে।  আর বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচটা নিজেদের মাঠে হওয়ায় তাঁদের আনন্দটাও যেন বাঁধভাঙা ছিল। সেটা ম্যাচ শেষে লাস পালমাস সমর্থক এবং খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপন আর শরীরী ভাষায়-ই বোঝা গেছে। 

 মেসিকে বারবার আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ছবি: এএফপি


দিনটা বার্সেলোনার হতে পারতো। সেভাবেই খেলছিলেন মেসি-সুয়ারেজরা। প্রথমার্ধে তো পাত্তাই পায়নি লাস পালমাস। মেসি-সুয়ারেজ জুটি বারবার বিপক্ষের রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেয়। বেশির ভাগ সময়ে মেসিকে ‘ফাউল’ করেই আটকেছিল লাস পালমাস রক্ষণের প্রহরীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ২১ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে ফাউলের শিকার হন মেসি। গোলপোস্ট বরাবর দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে বল ঠিকানা মতো পৌঁছে দেন আর্জেন্টাইন গোলমেশিন। ক্লাব এবং দেশের হয়ে এটি ছিল মেসির ৫৯৯ তম গোল। আর গ্রেন ক্যানারিয়া স্টেডিয়ামে প্রথম। এই মৌসুমে ফ্রি-কিকে এটি মেসির চার নম্বর গোল। চলতি মৌসুমে ফ্রি-কিকে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা এখন মেসিরই।


প্রথমার্ধে ১-০ গোলের ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। তখন মনে হচ্ছিল দিনটা শুধু বার্সেলোনার, শুধু-ই মেসির। দ্বিতীয়ার্ধে এসে এসবের কিছুই হয়নি রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লাস পালমাসের খেলোয়াড়রা বার্সেলোনার রক্ষণে হানা দেয়। তখন-ই  রেফারির ‘ভুল’ সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পেয়ে যায় লাস পালমাস। যদিও ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে একমাত্র সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি লাস পালমাসের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার জনাথন কেলিরি। এরপর পুরো ম্যাচে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বার্সেলোনার তারকা খেলোয়াড়েরা। ১-১ গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

এই ম্যাচের পর আর্নেস্তো ভালভার্দের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তেই পারে। রোববার পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মাত্র পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আসছে ন্যু ক্যাম্পে। সেদিন পাকেচক্রে বার্সেলোনা হেরে গেলে ব্যবধানটা নিশ্চিতভাবেই কমে যাবে। আর শিরোপার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়বে বার্সেলোনা, এগোবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।