- ৭০ কোটি ইউরোও কম মনে হচ্ছে মেসির জন্য! ছবি: রয়টার্স
- নতুন চুক্তিতে মেসির রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো
- নেইমারের রিলিজ ক্লজ ছিল ২২২ মিলিয়ন ইউরো
- নেইমারের আগে দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড ছিল ১০৫ মিলিয়ন

লিওনেল মেসিকে দলে টানার চেষ্টা কম হয়নি। ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা প্যারিস সেন্ট জার্মেই—গত এক দশকে কম চেষ্টা হয়নি বার্সেলোনা থেকে তাঁকে নিয়ে আসার। মেসিও দল ছাড়বেন, এমন গুঞ্জন শোনানো হয় প্রতি মৌসুমে।এ মৌসুমেই নতুন চুক্তি করে সব গুঞ্জন ধামাচাপা দিয়েছে বার্সেলোনা। পাঁচ বছরের নতুন চুক্তির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, মেসির নতুন রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়নে তুলেছে কাতালান ক্লাব। অর্থাৎ মেসিকে রাজি করাতে পারলেও বার্সার অনুমতি ছাড়া তাঁকে কিনতে চাইলে ৭০ কোটি ইউরো খরচ করতে হবে নতুন ক্লাবকে। অঙ্কটা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। দলবদলের বর্তমান বিশ্ব রেকর্ডটা এর তিন ভাগের এক ভাগও নয়। নেইমারকে কিনতে ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে পিএসজি।
অঙ্কটা তিন ভাগের একভাগ হলেও, নেইমারের দলবদলই বার্সার মনে ভয় জাগাচ্ছে। কারণ, নেইমারের দলবদলের আগে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য ১১০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করার কথাও ভাবতে পারত না ক্লাবগুলো। কিন্তু পিএসজি সেই অসম্ভবটাই করে দেখিয়েছে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের রিলিজ ক্লজের অঙ্কটা জমা দিয়েই তাঁকে দলে টেনেছে পিএসজি।
নেইমারের ঘটনার পরই মেসির রিলিজ ক্লজ ৩৫০ থেকে ৭০০ মিলিয়নে তুলে এনেছে কাতালানরা। বার্সেলোনা তবু ভয় পাচ্ছে, মেসির জন্য এমন অবিশ্বাস্য কিছু করে বসতেই পারে নব্য ধনী কোনো ক্লাব। ক্লাবের করপোরেট পরিচালক পাঞ্চো স্ক্রোডার তাই ৩০ বয়সী আর্জেন্টাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন, ‘আমরা এমন একটা রিলিজ ক্লজ দিয়েছি, যাতে মেসি বার্সেলোনাতেই অবসর নিতে পারে। কিন্তু এক বছর আগে আমরা নেইমারের ক্লজ যথেষ্ট ভেবেছিলাম। তাঁকে ধরে রাখার জন্য এটাই যথেষ্ট ভেবেছিলাম। কিন্তু সেটা সঠিক প্রমাণিত হয়নি।’
নেইমারের দলবদলের পরই গ্রীষ্মের দলবদলের বাজারের চিত্র বদলে গেছে। ওউসমানে ডেমবেলেকে ১০৫ মিলিয়ন ইউরো (শর্ত সাপেক্ষে সেটা আরও বাড়বে) দিয়ে কিনেছে বার্সেলোনা। ফিলিপে কুতিনহোকে তো জানুয়ারিতে এর চেয়েও বেশি দামে এনেছে বার্সেলোনা। ফেয়ার প্লের আইন থেকে বাঁচতে এমবাপ্পের জন্য অর্থ এখনো দেয়নি পিএসজি, তবে সেটা ১৮০ মিলিয়ন ইউরো বলেই জানা গেছে।
এখন যেকোনো দলবদলের হিসাবনিকাশই তাই শুরু হচ্ছে ১০০ মিলিয়ন থেকে। হোসে মরিনহো অবশ্য আগেই এমন কিছু হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। স্ক্রোডারের ধারণা, এমন ধারা চললে অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড দেখা যাবে শিগগিরই, ‘ভবিষ্যতের কথা বললে বলব ব্যাপারটা কঠিন (মেসিকে কেনা) কিন্তু আমি ভবিষ্যদ্বক্তা নই আর ইদানীং সবকিছু পাগলাটে রূপ নিচ্ছে।’