ষ্যদের ভেতর থেকে ‘ফিফা ভাইরাস’ দূর করার চ্যালেঞ্জ জিদানের।

শিষ্যদের ভেতর থেকে ‘ফিফা ভাইরাস’ দূর করার চ্যালেঞ্জ জিদানের। ছবি: এএফপি
ফিফার আন্তর্জাতিক সূচির জন্য ক্লাব ফুটবলে বিরতি। ক্লাবগুলো তা পছন্দ করে না বলে এর নাম হয়েছে ‘ফিফা ভাইরাস’। কারণ, ক্লাবগুলোর জন্য মাঝেমধ্যেই তা মারাত্মক ফল বয়ে আনে। খেলোয়াড়েরা ছন্দ হারিয়ে ফেলেন কিংবা চোটে পড়েন। জিনেদিন জিদানকে যেমন এখন এই ‘ফিফা ভাইরাস’-এর মোকাবিলা করতে হবে শক্তভাবে।

আন্তর্জাতিক সূচির আওতাভুক্ত দুটি প্রীতি ম্যাচে দেশের হয়ে খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ২০ জন খেলোয়াড়। দুই ম্যাচে তাঁরা সব মিলিয়ে ২,৬৪৯ মিনিটেরও বেশি সময় মাঠে ছিলেন। ঘণ্টার হিসাবে সময়টা ৪৪ ঘণ্টারও বেশি। তা ছাড়া এ দুটি ম্যাচ খেলতে খেলোয়াড়েরা মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৬১৭ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করেছেন। খেলোয়াড়দের এই ধকল পুষিয়ে ক্লাব ম্যাচের জন্য ফিট করে তুলতে বেশ বেগ পেতে হবে রিয়াল কোচ জিদানকে।

৩১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল—এই ১৯ দিনে ৬টি ম্যাচ খেলবে রিয়াল। এর মধ্যে রয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ, যেখানে জুভেন্টাসের মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। বাকি চার ম্যাচ লা লিগায়। প্রতিপক্ষ যথাক্রমে লাস পালমাস, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, মালাগা, অ্যাথলেটিক বিলবাও। লা লিগার পয়েন্ট টেবিল বিচারে এ চারটি ম্যাচই রিয়ালের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষস্থানীয় বার্সেলোনার (৭৫ পয়েন্ট) সঙ্গে ১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে টেবিলের তিনে রিয়াল।

দেশের দায়িত্ব পালন করতে রিয়ালের মোট ২০ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৭ জনই দুটি প্রীতি ম্যাচের পুরো সময় মাঠে ছিলেন। এই ৭ খেলোয়াড় হলেন দানি কারভাহাল ও সার্জিও রামোস (স্পেন), কেইলর নাভাস (কোস্টারিকা), মার্সেলো ও কাসেমিরো (ব্রাজিল), টনি ক্রুস (জার্মানি) ও দানি সেবায়স (স্পেন অনূর্ধ্ব-২১)।

এবারের মৌসুমে রিয়ালের মূল স্কোয়াডের ২৪ সদস্য মিলে দেশের হয়ে এই মৌসুমে ৮,৩২১ মিনিট মাঠে ছিলেন। এ সময়টা রিয়ালের খেলোয়াড়েরা অফিশিয়ালি মাঠে যত মিনিট ছিলেন, এটি এর ১৪.৮ শতাংশ। এর মধ্যে কাসেমিরো (৬৩০ মিনিট) ও লুকা মডরিচ (৬২৯ মিনিট) সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে ছিলেন জাতীয় দলের হয়ে। জিদানকে তাই মাঠের প্রতিপক্ষের পাশাপাশি মুখোমুখি হতে হচ্ছে মাঠের বাইরের প্রতিপক্ষেরও—‘ফিফা ভাইরাস’!