চালের দাম কেজিপ্রতি আরো ৪-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে
চালের দাম কেজিপ্রতি আরো ৪-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছেদিনকাল রিপোর্ট : কয়েকদিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আবারও লাগামহীন। বিশেষ করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি প্রতি। গতকাল শনিবার কারওয়ানবাজার, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। আগুন লেগেছে চালের বাজারে। স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যার বাজারমূল্য ছিল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। চার টাকা বেড়ে পাইজামের দাম এখন ৫০ টাকা। বিআর-আটাশ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা করে, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। : মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। চিকন চালের দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা। আজকের বাজারে স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে। যার গত সপ্তাহের বাজার মূল্য ছিল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। পাইজাম ৪৮ টাকা, বিআর২৮ কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। এছাড়া ভালোমানের নাজিরশাইল ৬৫ টাকা, ইন্ডিয়ান নাজিরশাইল ৬২ টাকা এবং সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫২ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে আজ। এদিকে পোলাও চাল ৮৫ টাকা ও বিরুই (লাল) চাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। : অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাংসের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গতকাল গরুর মাংস বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজি, খাসি ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা। সবজি, মাছ ও মাংসের দাম আরও বেড়ে গেছে। সবজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা, মাছের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা এবং মাংসের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত সপ্তাহ পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে মানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ ঘুরে সেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মুলা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া করলা ৬০ টাকা কেজি। এছাড়া বেগুন (কালো) ৪০ টাকা ও বেগুন (সাদা) ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ও ঢেঁড়শ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। : এছাড়া মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট মাছের চেয়ে বড় মাছের আধিপত্যই বেশি। ৬ কেজির অধিক ওজনের প্রতি কেজি রুই মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, একই ওজনের কাতল ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ২০০, গলদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। মসলা বাজারে কাঁচমরিচ বিক্রি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি পিয়াজ ৫০ টাকা, আমদানি করা পিয়াজ ৪৫, আদা ১২০ টাকা এবং রসুন মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মাংসের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। : এদিকে নতুন দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পিয়াজের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। এখনও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। রামপুরা মোল্লাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী মো. সালাম বলেন, আমরা আড়ত থেকে এখন কম দামে পিয়াজ আনতে পারছি। সে কারণে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এখন বাজার নতুন পিঁয়াজে ভরপুর, তাই দাম কমে গেছে। : কারওয়ানবাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, ভালোমানের দেশি পিঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতোই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সব থেকে ভালোমানের ভারতীয় পিঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
চালের দাম কেজিপ্রতি আরো ৪-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছেদিনকাল রিপোর্ট : কয়েকদিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আবারও লাগামহীন। বিশেষ করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি প্রতি। গতকাল শনিবার কারওয়ানবাজার, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। আগুন লেগেছে চালের বাজারে। স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যার বাজারমূল্য ছিল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। চার টাকা বেড়ে পাইজামের দাম এখন ৫০ টাকা। বিআর-আটাশ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা করে, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। : মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। চিকন চালের দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা। আজকের বাজারে স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে। যার গত সপ্তাহের বাজার মূল্য ছিল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। পাইজাম ৪৮ টাকা, বিআর২৮ কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। এছাড়া ভালোমানের নাজিরশাইল ৬৫ টাকা, ইন্ডিয়ান নাজিরশাইল ৬২ টাকা এবং সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫২ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে আজ। এদিকে পোলাও চাল ৮৫ টাকা ও বিরুই (লাল) চাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। : অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাংসের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গতকাল গরুর মাংস বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজি, খাসি ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা। সবজি, মাছ ও মাংসের দাম আরও বেড়ে গেছে। সবজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা, মাছের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা এবং মাংসের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত সপ্তাহ পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে মানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ ঘুরে সেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মুলা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া করলা ৬০ টাকা কেজি। এছাড়া বেগুন (কালো) ৪০ টাকা ও বেগুন (সাদা) ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ও ঢেঁড়শ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। : এছাড়া মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট মাছের চেয়ে বড় মাছের আধিপত্যই বেশি। ৬ কেজির অধিক ওজনের প্রতি কেজি রুই মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, একই ওজনের কাতল ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ২০০, গলদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। মসলা বাজারে কাঁচমরিচ বিক্রি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি পিয়াজ ৫০ টাকা, আমদানি করা পিয়াজ ৪৫, আদা ১২০ টাকা এবং রসুন মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মাংসের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। : এদিকে নতুন দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পিয়াজের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। এখনও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। রামপুরা মোল্লাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী মো. সালাম বলেন, আমরা আড়ত থেকে এখন কম দামে পিয়াজ আনতে পারছি। সে কারণে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এখন বাজার নতুন পিঁয়াজে ভরপুর, তাই দাম কমে গেছে। : কারওয়ানবাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, ভালোমানের দেশি পিঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতোই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সব থেকে ভালোমানের ভারতীয় পিঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।