একটুর জন্য সেঞ্চুরি পাননি ধাওয়ান। ছবি: এএফপি

বিরাট কোহলি নেই তো কী হয়েছে, শিখর ধাওয়ান তো আছেন! গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাল্লা দিয়ে রান তোলা ধাওয়ান ছন্দটা ধরে রাখলেন শ্রীলঙ্কাতেও। প্রথম দুই ওভারে রোহিত শর্মা আর সুরেশ রায়নাকে হারিয়ে ভারতীয় সমর্থকেরা যখন একাদশ দেখছেন কে কে ব্যাট করার বাকি; ধাওয়ান যেন গোঁফে তা দিয়ে অভয় দিলেন। তাঁর ৬টি করে চার-ছক্কায় ৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংসে নিদাহাস টি-টোয়েন্টি ট্রফির প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ৫ উইকেটে ১৭৪।
জবাবে ৩ ওভারে ১ উইকেটে ৪৬ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের প্রথম উইকেটেও ধাওয়ানের নাম। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে নিয়েছেন আকাশে ওঠা ক্যাচ।
কেবল শুরুর ধাক্কা সামলেছেন বলে নয়, ধাওয়ানের আজকের ইনিংসটার মাহাত্ম্য আসলে অন্য রকম। টি-টোয়েন্টিতে ২৪.৫০ ব্যাটিং গড় মন্দ নয়। তবে নামটা ধাওয়ান বলে ৩১ ইনিংসে মাত্র ৪ ফিফটি অনেকের কাছে বিস্ময় হয়ে ছিল। বিশেষ করে এই ধাওয়ান যখন আইপিএলে রানের বান ডাকেন। আজ পঞ্চম ফিফটিটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারলেন না ১৮তম ওভারের শেষ বলে লং অফে ক্যাচ তুলে দিলেন বলে। গত চার মাসে এটি টি-টোয়েন্টিতে তাঁর তৃতীয় ফিফটি। এর আগে ২৫ ইনিংসে ফিফটি ছিল দুটি! ধাওয়ান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ধাঁধাটাও মিলিয়ে দিতে শুরু করেছেন।
বিদেশের মাটিতে রোহিতের প্রায়ই অচেনা হয়ে থাকার ধাঁধাটা দিয়ে অবশ্য আজকের ম্যাচ শুরু। রানের খাতা খোলার আগে ইনিংসের চতুর্থ বলে ফিরে যান এই সিরিজের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। পরের ওভারের শেষ বলে ১ রান করে ফেরেন সুরেশ রায়নাও। ওপেনার হিসেবে নেমে এক প্রান্ত থেকে এই দুই তারকার ফেরা দেখেছেন ধাওয়ান। শুরুর চাপটায় লঙ্কান বোলাররা বেশ ভালোমতোই ঠেসে ধরলেন। প্রথম ৪ ওভারে মাত্র একটি বাউন্ডারি।
শুরুতে ধাওয়ানকেও সাবলীল লাগছিল না। একবার এলবিডব্লু হতে হতে বেঁচেও গেলেন। বার দু-এক ব্যাটের কানায় লেগে বল হাওয়ায় ভাসলও। ২২ বলে ২৯ রান বুঝতেই দিচ্ছিল না কোন ঝড়টা আসছে এরপর। ধাওয়ান দ্রুতই মঞ্চের মূল কুশীলবের ভূমিকা নিলেন। পরের ৮ বলে ২১ রান। ফিফটি এল ৩০ বলে। পরের ১৯ বলে ৪০ রান! সেঞ্চুরিটা যখন সাইটস্ক্রিনে ভাসছে, তখনই তুলে দিলেন ক্যাচ। তাঁর আগে ৯৫ রানের জুটিতে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন মনীশ পাণ্ডে (৩৫ বলে ৩৭)। ইনিংসের শেষ বলে ফিরেছেন ঋষভ পন্ত (২৩ বলে ২৩)। ৬ বলে ১৩ করে অপরাজিত ছিলেন দিনেশ কার্তিক।