শ্রীলঙ্কায় দাঙ্গা, জরুরি অবস্থার ভেতরেই চলবে নিদাহাস ট্রফি
শ্রীলঙ্কার আরেক শহর জ্বলছে, তা অবশ্য কলম্বোয় বসে বোঝার উপায় নেই। বাংলাদেশ দলও নির্বিঘ্নে সারল প্রস্তুতি।
কলম্বো থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরের ক্যান্ডি শহর জ্বলছে।
আজ এ শহরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-ভারতকে নিয়ে শুরু হচ্ছে নিদাহাস ট্রফি।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ জানালেন, নিরাপত্তা সব স্বাভাবিকই আছে।
কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব (সিসিসি) মাঠে আজ দুপুরে বাংলাদেশ-এসএলসি সভাপতি একাদশের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ চলার সময় মাঠের চারপাশে কজন পুলিশ দেখা গেল। দুজন সেনাও চোখে পড়ল। একটা আন্তর্জাতিক দলের ম্যাচ চলছে, এতটুকু প্রহরা তো থাকবেই। বাংলাদেশে হলে এর দশগুণ পাহারা থাকত নিশ্চিত। নিরাপত্তার প্রশ্নে শান্ত, শান্তিপূর্ণ কলম্বোয় হয়তো এটাই যথেষ্ট মনে করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
কলম্বো শহরটা দেখে বোঝার উপায় নেই প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরের ক্যান্ডি জ্বলছে! কলম্বোর মানুষ নির্বিঘ্নে চলা-ফেরা করছে, জীবনযাত্রা একেবারেই স্বাভাবিক। কর্মব্যস্ত নগরীতে করা হয়নি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন কিংবা নেই সেনাটহল, এ মুহূর্তে ক্যান্ডিতে যেটা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শ্রীলঙ্কার মধ্যপ্রদেশের রাজধানী এখন আতঙ্কের শহর! আজ ১০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
স্বস্তির খবর, ক্যান্ডির ‘আগুন’ কলম্বোয় স্পর্শ করেনি। আজ এ শহরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-ভারতকে নিয়ে শুরু হচ্ছে নিদাহাস ট্রফি। শহরে উত্তাপ যদি কিছু থেকে থাকে, সেটি এ ট্রফি নিয়েই। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় শ্রীলঙ্কা-ভারত ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে সিরিজটি। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্ট এগিয়ে নেওয়ার পক্ষেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থান। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে যতটুকু জানা গেল, ভারতও টুর্নামেন্ট খেলতে রাজি।
ক্যান্ডির ঘটনায় কলম্বো প্রশাসন কিংবা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) টিম হোটেল, মাঠে যে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটিও নয়। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কলম্বোয় আসা নির্বাচক হাবিবুল বাশারের চোখে সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে, ‘ক্যান্ডির ঘটনা শুনেছি। কিন্তু সিসিসিতে ম্যাচ শেষে আজ হোটেলে ফিরলাম, বাড়তি কোনো পাহারা চোখে পড়েনি। এখানে সব স্বাভাবিকই আছে।’
বিকেলে দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদও একই কথা বললেন, ‘কোনো অস্বাভাবিক দৃশ্য দেখিনি। স্বাভাবিক যে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেটিই দিচ্ছে। তবে তারা বলেছে, টিম হোটেল থেকে কোথাও যেতে হলে তাদের যেন জানানো হয়। বাড়তি পুলিশ, সেনা কিছুই তো দেখলাম না। সব স্বাভাবিকই আছে।’
সন্ধ্যায় নিদাহাস ট্রফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা বাংলাদেশের। পরশু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু তাদের লঙ্কা-অভিযান। ক্যান্ডি নয়, আপাতত বাংলাদেশের ভাবনায় শুধু এটিই।