ছুটির দিনে কালবৈশাখী

ছুটির দিনে কালবৈশাখী

বগুড়ার আকাশে মেঘের ঘনঘটা। হঠাৎ করে অন্ধকার হয়ে আসে চারপাশ। সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বগুড়া। ছবি: সোয়েল রানা
চৈত্র মাসে খুব একটা উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। কয়েক দিন ধরে আকাশে রয়েছে মেঘের আনাগোনা। দেশের বেশ কয়েকটি জায়গা প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। ২৬ মার্চ রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয় ছিটেফোঁটা। তবে আজ শুক্রবার আর অল্পস্বল্প নয়, রীতিমতো কালবৈশাখী বয়ে গেছে।

আজ দুপুরের পর থেকে ঢাকার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যেতে থাকে। চারটার পর ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। বিকেল পাঁচটায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ঘণ্টায় ৪৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে। এর সঙ্গে বজ্রবৃষ্টিও হতে থাকে। এ ছাড়া রাজশাহী, সৈয়দপুরে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কালবৈশাখী হয়েছে টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহে।

আজ ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, সিলেট জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদেরা জানান, মার্চ থেকে মে মাসে সূর্য কিরণ সরাসরি এ দেশের ওপরে পড়ে। এই তিন মাস সময়কে গ্রীষ্ম মৌসুম বলা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে সূর্য কিরণের তেজের জন্য ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত থাকে। গ্রীষ্ম মৌসুমে সূর্যের কিরণ দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে অপেক্ষাকৃত বেশি তির্যকভাবে পড়ে। এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাস বয়ে আসে। এই বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। এর সঙ্গে আরব সাগরের দিক থেকে আসা বাতাসেও থাকে জলীয় বাষ্প। সে কারণে রাজশাহী, রংপুরের মতো উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। তবে সাগর থেকে আসা বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল অঞ্চলে অস্বস্তি বেশি অনুভূত হয়।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা বাতাস মিশে গেলে কালবৈশাখী, বজ্র মেঘ, শিলাবৃষ্টি হয়। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের দিকে কালবৈশাখী বেশি হয়।