ব্রড, অ্যান্ডারসনের ছোবলের পর ওয়াটলিংয়ের লড়াই

ব্রড, অ্যান্ডারসনের ছোবলের পর ওয়াটলিংয়ের লড়াই
জনি বেয়ারস্টোর পঞ্চম সেঞ্চুরিতে তিনশ ছাড়ানো ইংল্যান্ড ভালো অবস্থানে আছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে। স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের দারুণ বোলিংয়ে বিপাক পড়া নিউ জিল্যান্ড লড়ছে বিজে ওয়াটলিংয়ের দৃঢ়তায়।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯২ রান। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ওয়াটলিং ৭৭ ও টিম সাউদি ১৩ রানে ব্যাট করছেন। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ৩০৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া স্বাগতিকরা এখনও ১১৫ রানে পিছিয়ে।

ব্রড ও অ্যান্ডারসন নতুন বলে দাপুটে বোলিংয়ে কাঁপিয়ে দেন নিউ জিল্যান্ডকে। মাত্র ৩৬ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।

অ্যান্ডারসন মেডেন দিয়ে শুরুর পর দ্বিতীয় ওভারে টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে দেন ব্রড। পরে পরপর দুই ওভারে বিদায় করেন রস টেইলর ও হেনরি নিকোলসকে। আগের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৪৫ রান করা নিকোলস এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

জিত রাভালকে ফেরানোর পর কেন উইলিয়ামসনকে বিদায় করেন অ্যান্ডারসন। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যান কেবল নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক।

 কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন ওয়াটলিং। সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভুলে অলরাউন্ডার ডি গ্র্যান্ডহোম দারুণ সঙ্গ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে।
বলের দিক থেকে নিজের সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলা ডি গ্র্যান্ডহোমকে বিদায় করে প্রতিরোধ ভাঙেন ব্রড। নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ১৫১ বলে ৭ চারে করেন ৭২ রান।

আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয়ে যায় আগে ভাগেই। তার আগে ব্যাটিংয়েও দেখিয়েছেন বল হাতে সাফল্য পাওয়া সাউদি। প্রথম ইনিংসে লিড পেতে ১৯৬ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৭৭ রান করা ওয়াটলিংয়ের দিকে তাকিয়ে নিউ জিল্যান্ড।

ব্রড ৩৮ রানে নেন ৪ উইকেট। অ্যান্ডারসন ৪৩ রানে দুটি।

এর আগে ৮ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে শনিবারের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। আগের দিনের ৩১ রানের জুটিকে ৪৮ পর্যন্ত নিয়ে যান বেয়ারস্টো ও জ্যাক লিচ।

দুটি চারে ১৬ রান করা লিচকে ফিরিয়ে ইংলিশদের প্রতিরোধ ভাঙেন সাউদি। তার আগেই সেঞ্চুরি পেয়ে যান ৯৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বেয়ারস্টো। তাকে ফিরিয়ে ৩০৭ রানে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন বোল্ট।

১৭০ বলে খেলা বেয়ারস্টোর ১০১ রানের ইনিংসে ১১টি চারের পাশে একটি ছক্কা।

৬২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার সাউদি। বাঁহাতি পেসার বোল্ট ৪ উইকেট নেন ৮৭ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ২৯০/৮) ৯৬.৫ ওভারে ৩০৭ (কুক ২, স্টোনম্যান ৩৫, ভিন্স ১৮, রুট ৩৭, মালান ০, স্টোকস ২৫, বেয়ারস্টো ১০১, ব্রড ৫, উড ৫২, লিচ ১৬, অ্যান্ডারসন ০*; বোল্ট ৪/৮৭, সাউদি ৬/৬২, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/৪৪, ওয়েগনার ০/৬৯, সোধি ০/৩১)

নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৭৪.৫ ওভারে ১৯২/৬ (রাভাল ৫, ল্যাথাম ০, উইলিয়ামসন ২২, টেইলর ২, নিকোলস ০, ওয়াটলিং ৭৭*, ডি গ্র্যান্ডহোম ৭২, সাউদি ১৩*; অ্যান্ডারসন ২/৪৩, ব্রড ৪/৩৮, উড ০/৫০, লিচ ০/৪৬, রুট ০/৯)