আর্জেন্টিনা হিগুয়েইনে আস্থা রাখার ঝুঁকিটা নিচ্ছে

আর্জেন্টিনা হিগুয়েইনে আস্থা রাখার ঝুঁকিটা নিচ্ছে
গত বছরের নভেম্বরের কথা। রাশিয়া ও নাইজেরিয়ার সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচের দলে গঞ্জালো হিগুয়েইনকে রাখেননি হোর্হে সাম্পাওলি। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, হিগুয়েইনের জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধই হয়ে গেল কি না? জাতীয় দলের হয়ে বড় ম্যাচে অনেকবারই হতাশ করেছেন হিগুয়েইন। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর সহজ সুযোগ নষ্ট করা অনেক দিন বিঁধে থাকবে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হৃদয়ে। তবে হিগুয়েইনের মতো জাত স্ট্রাইকারে ভরসা রাখার ঝুঁকি এবারও নিচ্ছে আর্জেন্টিনা।

প্রায় নয় মাসের নির্বাসন শেষে ইতালি ও স্পেনের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচে দলে ফিরছেন জুভেন্টাস স্ট্রাইকার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে হিগুয়েইন সর্বশেষ মাঠে নামেন গত বছরের জুনে, ব্রাজিলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে। এরপর আর্জেন্টিনা খেলে ফেলেছে ৭টি ম্যাচ, যার চারটি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। এর মধ্যে সিরি ‘আ’তে খুব ভালো খেললেও হিগুয়েইন উপেক্ষিতই ছিলেন জাতীয় দলে।
অবশেষে ফেরানো হলো তাঁকে আর্জেন্টিনা দলে। সাম্পাওলির যুক্তি, ‘যত দিন যাচ্ছে, হিগুয়েইনকে আমি তত পরিণত হতে দেখে আসছি। ওর খেলা দেখে মনে হয়েছে দলে রাখাই যায়।’ চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে ২০ গোল করা হিগুয়েইনের আরও ভালো লাগবে সাম্পাওলির পরের কথাটা শুনে, ‘আমাদের এমন ফুটবলার প্রয়োজন, যারা আর্জেন্টিনাকে ভালো একটি বিশ্বকাপের নিশ্চয়তা দিতে পারবে।’

হিগুয়েইন দলে ঢুকলেও এ মাসের দুটি প্রীতি ম্যাচে নেই ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি ও জুভেন্টাসের ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। পিএসজির হাভিয়ের পাস্তোরেরও জায়গা হয়নি দলে। তিনজনই চোটের কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন। চোট অবশ্য হিগুয়েইনেরও আছে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ ও নাপোলির সাবেক তারকার অ্যাঙ্কলের সেই চোট ২৩ ও ২৭ মার্চের ম্যাচ দুটির আগেই সেরে ওঠার কথা।
আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগে আর কে কে থাকতে পারেন, সেটা জানা কথাই। লিওনেল মেসি ও সার্জিও আগুয়েরো যথারীতি আছেন। ইকার্দি বা দিবালার শূন্যতা পূরণ করতে সাম্পাওলি ২২ জনের দলে রেখেছেন এএস রোমার ডিয়েগো পেরোত্তিকে।

রক্ষণভাগে মার্কোস রোহো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, রামিরো ফুনেস মোরি, গ্যাব্রিয়েল মেরকাদোরা আছেন। মাঝ মাঠে যেমন আছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, লুকাস বিলিয়া, হাভিয়ের মাচেরানো, এভার বানেগা। বিশ্বকাপের দলে যাঁরা থাকতে পারেন, তাঁদের বেশির ভাগই কি এই দলে আছেন? সাম্পাওলি বলেছেন বিশ্বকাপের দল প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন, ‘৮০ শতাংশ খেলোয়াড় আমি নিশ্চিত করে ফেলেছি। তবে বাকি ২০ শতাংশ ঠিক করা বেশি কঠিন।’
এই কঠিন কাজটা করে ফেলার জন্য আগামী কিছুদিন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দলে হয়তো অনেককেই খেলাবেন আর্জেন্টিনার কোচ।