সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি
বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের নয়া রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের লিগে (ডিপিডিসিএল) এখন পর্যন্ত ৩৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ফলে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ শিকারের রেকর্ড গড়ে ফেলেন ম্যাশ। গত মৌসুমে ৩৫ উইকেট নিয়ে এই রেকর্ডের মালিক হয়েছিলেন বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনি। এক মৌসুম পরই রনির কীর্তি মুছে ফেলে নয়া রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি।
চলতি মৌসুমে ১৫ ম্যাচে ১২২ দশমিক ৫ ওভার বোলিং করেছেন মাশরাফি। রান দিয়েছেন ৫৪০। গড়- ১৪ দশমিক ২১। ওভার প্রতি ইকোনমি ৪ দশমিক ৩৯। দু’বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেরা বোলিং ফিগার ৪৪ রানে ৬ উইকেট। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে সেরা বোলিং ফিগার দাড় করানোর ম্যাচে হ্যাট্রিকও করেন মাশরাফি।
এখন পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। ৩৬৭টি উইকেট নিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি।
বড় জয়ে শিরোপার খুব কাছে আবাহনী
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের লিগের (ডিপিডিসিএল) সুপার সিক্সে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে আজ বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ১২৭ রানের বড় ব্যবধানে হারায় তারা। এই জয়ে ১৫ খেলায় ২২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে টেবিলের শীর্ষে আবাহনী। আগামী ৫ এপ্রিল সুপার সিক্সের পঞ্চম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে হারালেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে আবাহনীর। তবে ঐ ম্যাচে কম ব্যবধানে হারলেও শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা থাকবে মাশরাফি-নাসিরদের। কারণ রূপগঞ্জের সাথে রান রেটের ব্যবধানে অনেক এগিয়ে আবাহনী। তারপরও বড় ব্যবধানে জিতলে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা থাকবে রূপগঞ্জের। তবে সেই বড় ব্যবধান কত, তা সময়ই বলে দিবে। ১৫ খেলা শেষে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়স্থানে রূপগঞ্জ। ১৫ খেলায় ২০ পয়েন্ট রয়েছে শেখ জামালেরও।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং-এ নামে আবাহনী। আগের ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের উড়ন্ত পারফরমেন্সে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান করেছিলো আবাহনী। তবে খেলাঘরের বিপক্ষে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা। নির্ধারিত ওভারের ২১ বল বাকী থাকতেই ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন আগের ম্যাচে ১২১ রান করা ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৪৪ বলে ৫০ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৭, বোলার তাসকিন আহমেদ ২৬ ও সানজামুল ইসলাম ২৩ রান করেন। খেলাঘরের আব্দুল হালিম ১০ রানে ৪ উইকেট নেন।
খেলাঘরকে ২৪২ রানের টার্গেট দিয়ে বল হাতে ইনিংসের শুরু থেকেই জ্বলে উঠেন আবাহনীর বোলাররা। প্রতিপক্ষ বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে দিশেহারা হয়ে ১১৪ রানেই গুটিয়ে যায় খেলাঘর। দলের পক্ষে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২৭, আঞ্জুম আহমেদ ২৪ ও মাসুম খান অপরাজিত ২৩ রান করেন। আবাহনীর মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩২ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ফলে এবারের মৌসুমে তার শিকার সংখ্যা গিয়ে দাড়ালো ৩৮-এ। উইকেট শিকারে সবার উপরে এখন ম্যাশ। সেই সাথে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ফরম্যাটে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ডও গড়লেন মাশরাফি।