তুরস্কে বরখাস্ত হচ্ছে তিন হাজার সেনা

তুরস্ক
তুরস্কে বরখাস্ত হচ্ছে তিন হাজার সেনা
তুরস্ক সরকার দেশটির সেনাবাহিনীর ৩ হাজার সদস্যকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তুর্কি সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দিন জানিকলি।

তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, জরুরি ডিক্রির মাধ্যমে তাদের বরখাস্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। অভুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগেও সেনাবাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য ও কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

২০১৬ সালের জুলাইয়ে অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় তুর্কি সেনাবাহিনীর একটা অংশ দাবি করেছিল প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর পর শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে।

ওই ঘটনার পর জরুরি অবস্থা জারি করে তুরস্কে। অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দেশটির সেনাবাহিনীর বহু জেনারেলসহ ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি সরকারি কর্মচারী ও সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছে আরো প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

আমেরিকায় স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা ভিন্ন মতাবলম্বী নেতা ফতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে এসব সেনার সম্পর্ক রয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে। তবে গুলেন তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তুরস্কে ২৪ জুন আগাম নির্বাচন
আল-জাজিরা


আগাম প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। নির্ধারিত মেয়াদের এক বছরেরও বেশি আগে আগামী ২৪ জুন একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।

বুধবার আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, নির্বাহী প্রেসিডেন্সি এখন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন, তবে এখনই প্রস্তুতি শুরু হওয়া দরকার।

ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির(এমএইচপি) ডেভলেত বাহচেলির সাথে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। বাহচেলি এরদোগানের সাথে বৈঠকের একদিন আগে আগাম নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। স্বাভাবিক নিয়মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। গত বছর এক গণভোটের মাধ্যমে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে তুরস্ক যা পরবর্তী নির্বাচনের পর সেটি কার্যকর হওয়ার কথা।