টাইটানিক থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন ‘চ্যাম্পিয়ন’ রিচার্ড! কাহিনি হার মানায় সিনেমাকেও
এই মানুষটির জীবন রুপোলি পর্দার কাহিনিকেও হার মানায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন এভাবেও ফিরে আসা যায়।
‘টাইটানিক’ বললেই বহু মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রোজ-জ্যাকের বিষাদঘন প্রেমের আখ্যান। চোখের সামনে জ্যাক তলিয়ে গেলেন সমুদ্রের হিমশীতল জলের ভিতরে। বেঁচে গিয়েছিলেন রোজ। কিন্তু সে তো সেলুলয়েডের কাহিনি মাত্র। সত্যিকারের টাইটানিকে তো রোজ বা জ্যাক কেউই ছিলেন না। কিন্তু ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, অতিকায় জাহাজডুবির ঐতিহাসিক ঘটনায় রোজের মতো কেউ কেউ ফিরে এসেছিলেন। সেই বেঁচে ফেরা মানুষদের মধ্যে একজন ছিলেন রিচার্ড নরিস উইলিয়ামস। এই মানুষটির জীবন কিন্তু রুপোলি পর্দার কাহিনিকেও হার মানায়।
১৯১২ সালের এপ্রিল মাসে টাইটানিকে ছিলেন রিচার্ড। তিনি জাহাজডুবির পরে সমুদ্রের হিমশীতল জলে ভেসে ছিলেন দীর্ঘ সময়। কিন্তু ধৈর্য হারাননি। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল এসে তাঁকে উদ্ধার করে ওই মৃত্যুনীল জলের কবল থেকে। পা অবশ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, রিচার্ডের পা বাদ দেওয়ার কথা ভাবছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু হাল ছাড়েননি রিচার্ড। তিনি চিকিৎসকদের জানান, তিনি ঠিকই ফিরে আসবেন।
তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন এভাবেও ফিরে আসা যায়। কবির নজরে এপ্রিল ‘নিষ্ঠুরতম’ মাস হতে পারে, কিন্তু সে সদয় হয়েছিল রিচার্ডের প্রতি। ফিরে এসে দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।
কেবল দীর্ঘ জীবন পাওয়াই নয়, সেই জীবনকে সাফল্যের চুড়োতেও নিয়ে গিয়েছিলেন রিচার্ড। টেনিসকে কেরিয়ার হিসেবে গড়েছিলেন তিনি। ইউএস ওপেন খেলতে নেমে দু’দুবার চ্যাম্পিয়ন। উইলম্বডন সেমিফাইনালিস্ট। রিচার্ড দেখিয়ে দিয়েছিলেন ইচ্ছাশক্তি থাকলে একজন মানুষ কীভাবে নিজের জীবনে জয়ী হতে পারেন। পর্দার ‘জ্যাক’কে বাঁচাননি পরিচালক জেমস ক্যামেরন। কিন্তু রক্তমাংসের দুনিয়ায় সুদর্শন রিচার্ড ফিরেছিলেন। মনের জোর ও জীবনের প্রতি দুর্মর ভালবাসাকে সঙ্গী করে।