প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে পারে ১০ লাখ রোহিঙ্গা

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে পারে ১০ লাখ রোহিঙ্গা
শুরু হয়েছে বৃষ্টি আর ঝড়-বাদলের দিন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে পারে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া প্রায় দশ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা।
এ অবস্থায় আসন্ন বর্ষা মৌসুম মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হচ্ছেন কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা ও স্থানীয় মানুষজন।

তাদের ক্যাম্প তৈরি করার প্রচেষ্টায় সমর্থন যোগাচ্ছে জাতিসংঘের অভিবাসী সংস্থা-আইওএম। খবর ইউএনবির।

আইওএম জানায়, ২০টি প্যারা উন্নয়ন কমিটির (পিডিসি) অধীনে টেকনাফের ২৪টি দ্রুত প্রকল্পকে সমর্থন করছে আইওএম সেখানে প্রতিটিতে ছয়জন শরণার্থী এবং পাঁচজন স্থানীয় লোক থাকবে।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সেতু নির্মাণ, প্রবেশ পথ, ড্রেন, ঢাল সুরক্ষা কাজ প্রভৃতি।

এই প্রকল্পগুলোর কাজ প্রধানত ঘনবসতিপূর্ণ উচিপ্রাং,লেদা, নয়াপাড়া ও শ্যামলাপুর ক্যাম্পে করা হবে। এর মধ্যে উচিপ্রাং ক্যাম্পে ২১ হাজার ৩১০ জনের বেশি, নয়াপাড়ায় ২৪ হাজার ৭৯০ জন, শ্যামলাপুরে ২২ হাজার ৭০০ জন এবং লেদায় প্রায় ৯ হাজার ৩২০ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

সর্বমোট প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী মূল শিবির উখিয়া ক্যাম্পের বাইরে বাস করছে।

টেকনাফে বসবাসরত মৌলভী শাকের (৩৫) নামের এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘বর্তমানে বৃষ্টির কবল থেকে বাঁচাই রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের সবচেয়ে সংকটময় ইস্যু। আমরা সড়ক ও সেতু নির্মাণে একসাথে কাজ করছি যাতে বন্যায় এলাকা ডুবে না যায়।’

আরেক টেকনাফবাসী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (৩৫) বলেন, ‘টেকনাফের অধিকাংশ শরণার্থী কেবল প্লাস্টিকের শীট এবং পাতলা বাঁশ দিয়ে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে, যা বর্ষা মৌসুমে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’

আইওএম এবং অংশীদার সংস্থাগুলো ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিতে ঠুনকো আশ্রয়কেন্দ্রগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্বীকার করেছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ভালোভাবে নির্মাণ ও আপগ্রেড করার জন্য একযোগে কাজ করছে।

টেকনাফে ১৫ হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র আপগ্রেড প্রয়োজন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে ৭৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছেন।

এর মধ্যে ১৩ হাজার ২০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র আপগ্রেড করার লক্ষ্য স্থির করেছে আইওএম।ওইখানে প্রায় ৬৬ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।