এশিয়া
পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত উত্তর কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বলেছেন, তার দেশ সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত করবে, একটি পরমাণু পরীক্ষা স্থাপনা বন্ধ করে দেবে। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়, ২১ এপ্রিল থেকে উত্তর কোরিয়া পরমাণু পরীক্ষা ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধ করবে।
শুক্রবার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির এক সভার পর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর কোরিয়া এত দিন তার অস্ত্র কর্মসূচির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধকে পরোয়া করছিল না।
গত নভেম্বরে তারা নতুন ধরনের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।
এখন ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ করায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে। চলতি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইনের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের বৈঠক হতে পারে। এছাড়া জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কিমের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে রেডিও-অ্যাকটিভ ক্লাউডে ঝলসে যাবে জাপান!
এদিকে শুক্রবার জাপানকে হুঁশিয়ারির বার্তা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বলা হয়েছে, কোরিয় উপদ্বীপে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে নাকি রেডিও অ্যাক্টিভ মেঘমণ্ডলীতে প্রথমেই ঝলসে যাবে জাপান। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত দৈনিক রোডং সিনমুন এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, জাপানে মার্কিন কয়েকটি ঘাঁটি রয়েছে এবং কোরিয় উপদ্বীপে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে অন্য যেকোনো দেশের আগে তেজস্ক্রিয় মেঘমণ্ডলীতে প্রথমেই যে দেশ ঝলসে যাবে সেটি হলো জাপান।
এতে আরো বলা হয়েছে, নিজ স্বার্থ সম্পর্কে যদি সত্যিই যদি সচেতন হয় তবে শান্তিপূর্ণভাবে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা জাপানের করা উচিত। এ ছাড়া, জাপানকে অতীতের পরমাণু বোমা হামলার অভিজ্ঞতার কথাও এতে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরমাণু বোমার অভিজ্ঞতা বিশ্বে একমাত্র জাপানেরই আছে। পরমাণু বোমার অভিজ্ঞতার কতোটা ভয়াবহ তা অন্যের চেয়ে জাপান বেশ ভাল করেই জানে বলে দৈনিকটি উল্লেখ করেছে।