বিশ্বকাপে নেইমারের নতুন হেয়ারস্টাইল!

বিশ্বকাপে নেইমারের নতুন হেয়ারস্টাইল!

বিশ্রামে আছেন ব্রাজেলীয় সুপারস্টার নেইমার। পায়ের অস্ত্রোপচারের পর এখন রিও ডি জেনেরোর বিলাসবহুল রিসোর্টে রিহ্যাবে আছেন। সামনে লক্ষ্য একটাই, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে নামা। এর আগে নতুনরূপে দেখা যাচ্ছে তাকে। চুলের নতুন ছাঁটের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তিনি।

অস্ত্রপচারের পর তার সুস্থ হয়ে ওঠার বিভিন্ন রিহ্যাব পদ্ধতি অনুরাগীদের জানাতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে পোস্ট করছেন নেইমার। সেই ধারাবাহিকতায় চুলের নতুন ছাঁটের ছবিও পোস্ট করেন।

এখন ভক্তদের মনে প্রশ্ন, চুলের এই নতুন ছাঁটেই কি বিশ্বকাপে দেখা যাবে নেইমারকে? এ জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে জুন মাস পর্যন্ত।



চুলের অদ্ভুত ছাঁটে বিশ্বজয়! নেপথ্য কাহিনী কী

চুলের এক ছাঁটেই বিশ্ব জিতে নিয়েছিলেন তিনি। বল পায়ে ফুটবল মাঠ শাসন করেছিলেন। ২০০২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ বললে চোঁখে ভাসবে রোনাল্ডোর স্টাইলিশ চুলের ছাঁট। পুরো মাথা কামানো, শুধু সামনে অর্ধ-বৃত্তাকার চুলের ছাঁটে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন গোটা ফুটবলবিশ্বে।

কিন্তু কেন এমন অদ্ভূত ছাঁটে দেখা গিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান মহাতারকাকে?

সেকথাই প্রকাশ্যে জানালেন রোনাল্ডো নাজারিও দ্য লিমা। তিনি জানালেন, নিজের চোট থেকে সংবাদমাধ্যমের আলোচনা বিরত রাখতেই এমন চুলের ছাঁটের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানের ওই বিশ্বকাপের আগে রোনাল্ডোর চোট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। সেই ঘটনা থেকে সংবাদমাধ্যমের নজর ঘোরাতেই এমন ছাঁট!

মেলবোর্নে এক অনুষ্ঠানে রোনাল্ডো বলেন, ‘‘আমার পায়ে একটা চোট ছিল। সবাই সেই আলোচনা নিয়েই ব্যস্ত ছিল। সেই সময়ে সিদ্ধান্ত নিলাম চুলের নতুন ছাঁটের। আর সামনে ওই অংশটুকু ফেলে রাখার। এরপর অনুশীলনে এলাম। সবাই আমাকে ওই ছাঁটে দেখল।’’

এতে সুবিধা কী হয়েছিল?

সেটিও জানিয়েছেন রোনাল্ডো! জানান, ‘‘সবাই তখন আমার চুল নিয়েই কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। চোটের কথা বেমালুম ভুলে গেলো। এতে অনুশীলনে আরো নির্ঝঞ্ঝাটে খেলার ও মনোযোগী হওয়ার সুযোগ পেলাম।’’

ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি যদিও জানান, ‘‘মোটেও ওই ছাঁট নিয়ে গর্বিত নই। পুরোটাই অদ্ভূত ছিল। তবে এতে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘোরানো গিয়েছিল।’’

অদ্ভূত সেই চুলের ছাঁট নিয়েই ব্রাজিলকে পাঁচ নম্বর বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। ফাইনালে দু’গোল সহ মোট আট গোল করেছিলেন তিনি।