বিবিধ
ইরান আতঙ্কে অস্থির তেলবাজার, ভাগ্য নির্ধারণের অবস্থায় নেই হোয়াইট হাউজ
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের বাজার আবার অস্থির হচ্ছে। ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নতুন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে এক ব্যারেল তেল কেনাবেচা হয়েছে ৭৫ দশমিক ৪৭ ডলারে। অপেক্ষাকৃত উন্নত মানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এত বেশি দরে লেনদেন প্রায় সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
১২ মে ইরানের সাথে ৬ দেশের পরমাণু চুক্তি পরিত্যাগ এবং নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ওপেকের তৃতীয় সর্বোচ্চ তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরান বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
২০১৪ সালের জুনে আন্তর্জাতিক বাজারে এক ব্যারেল তেল কেনাবেচা হয় ১২০ ডলার। সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য না থাকা, যুক্তরাষ্ট্রে শেলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ডলার শক্তিশালী হওয়ার কারণে এক পর্যায়ে তা ৩০ ডলারের নিচে নামে।
এরপর তেলের বাজার চাঙ্গা করতে গত বছর ওপেকের ১৪ দেশ এবং রাশিয়াসহ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেল সরবরাহ সীমিত করার সিদ্ধান্তে আসে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই চুক্তি বলবত থাকার কথা রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে তেলের দাম বেড়ে চলেছে।
এদিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে এক অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করার অবস্থায় নেই হোয়াইট হাউজ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে হস্তক্ষেপ করার জন্য আমেরিকা অত্যন্ত সমালোচিত।
রুহানি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেসব সমস্যা মোকাবেলা করছে তা বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্যের কারণে তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু দেশ মনে করে একটি নিপীড়িনকারী ও দখলদার সরকার অন্য দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকবে। অনেকে মনে করে হোয়াইট হাউজ অবশ্যই মধ্যপ্রাচ্যের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
রুহানি বলেন, কোথায় আপনাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন? মাটিরে নিচে রক্ষিত কালো সোনার দিকে নাকি কিছু আরব দেশের কোটি কোটি ডলারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকে? আমেরিকা যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে তা আধুনিক সময় ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমেরিকা অন্য দেশের ভাড়াটে।