‘আফ্রিকাকে উপনিবেশ বানাচ্ছে না চীন’

আফ্রিকা
‘আফ্রিকাকে উপনিবেশ বানাচ্ছে না চীন’
চীন আফ্রিকাকে উপনিবেশ বানাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হজে গেইনগব। রাষ্ট্রীয় এক সফরে চীনে থাকা গেইনগব এ কথা বলেছেন।


গেইনগব বলেছেন, ‘চীন ও নামিবিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে যেসব কথা ছড়ানো হয় সেগুলো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে যাচ্ছে।’ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে আফ্রিকার সহযোগিতা বাড়লে উভয় পক্ষই লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিণত, আমরা বন্ধু বেছে নিতে নিতে পারি, যা চাই, যা আমাদের জন্য ভালো বেছে নিতে পারি তাও।’


সমপদক্ষেপের ভিত্তিতে চীন ও আফ্রিকার সহযোগিতা অগ্রসর হচ্ছে মন্তব্য করে গেইনগব আরো বলেছেন, তার দেশে চীনা বিনিয়োগ কেবল ‘সম্পদ উত্তোলনের’ জন্য নয়। চীন আমাদের পণ্যগুলোতে যে পরিমাণ মূল্য সংযোজন করেছে অন্য কোনো দেশ তা পারেনি। প্রযুক্তি স্থানান্তর ও নতুন চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রেও তারা অনেক কিছু করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে নিজেদের প্রভাব আরো শক্তিশালী করতে চীন তার মনোযোগ আফ্রিকার দিকে কেন্দ্রীভূত করেছে বলে ধারণা পশ্চিমা বিশ্লেষকদের। আফ্রিকা মহাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বেইজিংয়ের নেয়া শত শত কোটি ডলারের নির্মাণ প্রকল্প সেই উদ্দেশ্যেই বলে মনে করছেন তারা। আফ্রিকার দেশগুলোর তেল ও খনিজের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ‘নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাই বেইজিংয়ের মূল লক্ষ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন কোনো কোনো সমালোচক।

গত মাসে আফ্রিকার দেশগুলোকে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও বলেছিলেন, চীনের কাছ থেকে ঋণ নিতে গিয়ে তারা যেন সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্জলি না দেয়। কোনো আফ্রিকান দেশ চীনা ঋণ নেয়ার পর ‘সমস্যায় পড়লে’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবকাঠামো ও সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে বলেও হুঁশিয়ার করেছিলেন তিনি।
‘আফ্রিকার খনিজসম্পদের দিকেই তাদের লক্ষ্য’, এ অভিযোগ ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করে আসছে চীন। প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই, আফ্রিকার প্রস্তাবিত এমন সহায়তা প্রকল্পগুলোকেও তারা স্বাগত জানাচ্ছে বলে দাবি করেছে দেশটি।
More Link