গড়াপেটায় এবার নাম বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটারের, তোলপাড় ক্রিকেটমহলে
রাজস্থান পুলিশ সংগঠিত এই বেটিং চক্রের পাণ্ডাকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। সেই পাণ্ডার সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে ২০১১ সালে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এক ক্রিকেটারের।
তিনি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। কেবল তাই নয়, ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী জাতীয় দলের সদস্যও। আপাতত সেই তারকাই পুলিশের কড়া নজরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সিন্ডিকেট চালানোর অপরাধে। পুরো ঘটনা নজরে আসে গত বছরের জুলাইয়ে রাজপুতানা প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটার নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল।
সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজস্থান পুলিশ সংগঠিত এই বেটিং চক্রের পাণ্ডাকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। সেই পাণ্ডার সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে ২০১১ সালে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এক ক্রিকেটারের। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার ভারতের হয়ে তিন ধরনের ফর্ম্যাটেই খেলেছেন বলে খবর।
সিআইডি-র (ক্রাইম) অতিরিক্ত ডিজি পঙ্কজ কুমার সিংহ বলেন, তাঁরা সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছেন, ‘‘বর্তমানে আমরা ক্রিকেট অফিসিয়াল এবং ক্রিকেটারদের সমস্ত যোগসূত্রে নজর রাখছি। দোষ প্রমাণিত হলে, ব্যবস্থা নেব।’’
সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভাব্য সমস্ত দোষীদের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় হইচই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। তবে সিআইডি আধিকারিক এখনই সেই ক্রিকেটারের ব্যাপারে বিশদে জানাচ্ছেন না। নামও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
সিনে জগতের তারকাদের উপস্থিতিতে অনেক আশা নিয়ে রাজপুতানা প্রিমিয়ার লিগ চালু করা হয়েছিল গত বছরে। এর পরে জুলাইয়েই ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে ছ’জনই ছিল ক্রিকেটার। ওয়াজির আলি ও বাহারে খান নামের দুই গড়াপেটার মাস্টারমাইন্ডও ধরা পড়ে পুলিশের জালে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই ধৃত ব্যক্তিই ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের কাছে প্রলোভনের ফাঁদ পাতত। বুকিদের সঙ্গে ক্রিকেটার-আম্পায়ারদের যোগসূত্র হিসেবে কাজ করত ওয়াজির-বাহারে।